নেত্রকোনায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আকস্মিক কালবৈশাখীর তাণ্ডবে তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হল সদর ইউনিয়নের বারমারি উচ্চ বিদ্যালয়, জামিয়া ইসলামিয়া আসাদিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা এবং চন্ডিগড় ইউনিয়নের নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয়। উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছ-পালা। গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টিতে উঠতি বোরো ধান ক্ষেত সহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ ঝড় প্রায় ১ ঘণ্টা স্থায়ী ছিলো।
জানা গেছে, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উপজেলার সাত'টি ইউনিয়নের প্রায় গ্রামগুলোতে ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে সদর ইউনিয়ন ও চণ্ডীগড় ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে। লণ্ডভণ্ড হয়েছে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গাছপালা। তবে এই ঝড়ে কোন মানুষ নিহত বা আহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বারমারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দাস জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের বিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক গিয়ে দেখেন টিনের চাল ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
নবারুন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার ভাদুরি বলেন এই ঝড়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে ধান ক্ষেতে ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুৃন: দেশের বিভিন্ন স্থানে বিকেলের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দিলোয়ার হোসেন খান বলেন, ঝড়ের তাণ্ডবে গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল প্রায় ১১ হাজার মানুষ। প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি ৩টি খুঁটি ভেঙে গেছে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আমাদের টিম কাজ করার পর বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, কাল বৈশাখী ঝড়ের কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে যতটুকু সম্ভব ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।