০১ মে ২০২৩, ১০:৪৬

শিক্ষা কর্মকর্তা চাকরি দিতে ঘুষ নেন ৩৪ লাখ টাকা

চাকরি দিতে ঘুষ নেন ৩৪ লাখ টাকা   © সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালির সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাকরি প্রত্যাশীদের চাকরী দেওয়ার কথা বলে ৩৪ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ বিপাকে পড়েছেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তারা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র যাচাই করেন, পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে কথা বলেন।

রোববার (৩০ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার তথ্য বের হয়ে আসে। 

দুদকের কুষ্টিয়া জেলা এনফোর্সমেন্ট ইউনিট জানায়, গত বছর প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কয়েকজন দালালের মাধ্যমে সেলিনা খাতুন ৩৪ লাখ টাকার ঘুষ নিয়েছেন। গ্যারান্টি হিসেবে নিজ নামের চেক দিয়েছেন। কিন্তু চাকরি প্রত্যাশীরা চাকরি না পাওয়ায় তিনি ১৮ লাখ টাকা ফেরত দেন। এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা এসবের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। এ বিষয়ে সেলিনা খাতুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে দুদক জানিয়েছে। 

আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নির্যাতন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে

এ ছাড়া নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পায় দুদক। পরে নোয়াখালী জেলা দুদক কার্যালয় সদস্যরা একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।

তারা অম্বরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন দুলুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু তিনি অভিযোগ সম্পর্কে অস্বীকার করেন। তার দাবি, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হয়। এখানে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।