জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে বগুড়ার দই
দেশজুড়ে রয়েছে বগুড়ার দইয়ের খ্যাতি। এবার সেই দই পেতে যাচ্ছে এই স্বীকৃতি। আগামী দুই মাসের মধ্যে এই স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
ডিপিডিটি সূত্র জানায়, বগুড়ার দই, শীতলপাটি, শেরপুরের তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম– এই পাঁচটি পণ্যের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা প্রায় সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। এসব তথ্য এরই মধ্যে জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে। এ বিষয়ে কারও আপত্তি না থাকলে দুই মাসের মধ্যে এসব পণ্যের চূড়ান্ত জিআই মর্যাদা দেওয়া হবে।
ডিপিডিটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি। এর পর একে একে স্বীকৃতি পেয়েছে ইলিশ, ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহী সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি এবং দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল। সর্বশেষ গত মাসে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম এই তালিকায় স্থান পেয়েছে।
ডিপিডিটির এক্সামিনার ( পেটেন্ট) নীহার রঞ্জন বর্মণ জানান, তিন শ্রেণির পণ্যকে জিআই মর্যাদা দেওয়া হয়– প্রাকৃতিকভাবে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, কৃষি ও হস্তশিল্প পণ্য। কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় আঞ্চলিকভাবে কোনো পণ্যের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লে, সেই পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ জন্য কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে তথ্য-উপাত্তসহ ডিপিডিটির কাছে আবেদন করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি যাচাই-বাছাই শেষে সনদ দেয়। এর পর দেশের মধ্যে একক মর্যাদাসম্পন্ন হয় ওই পণ্য।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নীতিমালা অনুসারে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বাংলাদেশের পণ্যের ক্ষেত্রে এই স্বীকৃতি ও সনদ প্রদান করে। যারা জিআইয়ের জন্য আবেদন করেন, তাঁদের দেওয়া হয় মেধাস্বত্ব।
চাইলেই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। বেশ কিছু প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। আবেদনকারী কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তিকে। কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি যে মৌলিকভাবে শুধু বাংলাদেশেই হয়, তার প্রমাণ দিতে হয়। ডিপিডিটির একটি কমিটি তা মূল্যায়ন করে স্বীকৃতি দেয়। এর পর সংস্থাটির জার্নালে তা প্রকাশ করা হয়। যদি কেউ এ পণ্য নিয়ে আপত্তি না তোলে তাহলে সনদ দেওয়া হয়।