সড়কে বেপরোয়া ঈদ উদযাপন, পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি ৩২১
ঈদে ফাঁকা রাজধানীর সড়ক। তাই বেপরোয়া হয়ে গাড়ি-মোটরসাইকেল চালিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত ৩২১জন হাত-পা ভেঙ্গে আহত হয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২০ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই বাসায় ফিরতে পেরেছেন। তবে ৯৬ জনের অবস্থা গুরুতর। অস্ত্রোপচারের পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ২টা পর্যন্ত হাত-পা ভাঙা ১০৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জনের অবস্থা গুরুতর। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দুই পা ভেঙে কাতরাচ্ছেন সাভারের আশুলিয়ার হাবিবুল ইসলাম (২১) নামে এক তরুণ। ঈদে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাস্তায় অন্য একটি মোটরসাইকেলকে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত এক সেবক বলেন, আমরা যাদের পা ব্যান্ডেজ করছি, অধিকাংশ ইয়াং (বয়সে তরুণ)। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, জানতে চাইলে জানায়, বন্ধুদের নিয়ে বাইকে ঘুরতে বেরিয়ে এমন অবস্থা হয়েছে। শনিবার ঈদের দিন অনেক রোগী ছিল। রোববারও রোগীর চাপ আছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে রোগী আসেন। অনেকে গ্রাম এলাকা থেকে রওনা দেয়, এখনো (দুপুর ২টা) তারা হয়তো এসে পৌঁছাতে পারেনি। আজ সন্ধ্যা ও রাতে রোগী আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঈদের দিনে শনিবার (২২ এপ্রিল) সারাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এছাড়া বগুড়ায় তিনজন, বরিশালে একজন, দিনাজপুরে একজন, গাজীপুরে একজন, মাদারীপুরে একজন, ফরিদপুরে একজন ও মেহেরপুরে এক শিশু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব দুর্ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন।এছাড়াও বিকেল ৩টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী- পিরোজপুর ও জামালপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ।