দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি আর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে একাই দাড়ালেন রনি
দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি এবং ঈদ যাত্রায় পরিবহণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে এক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তিনি এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এসময় তার হাতে প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
রনি বলেন, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং তার কারণ সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানেন। আর আড়তদার, মজুতদার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেক বাস মালিকেরাও ঈদ সালামির নামে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় করছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্দোলন করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে গত এক মাস ধরে আন্দোলন করতেছি। ২৩ মার্চ আমার এই আন্দোলনের শুরু। সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ইতোমধ্যে একটা আইন প্রণয়ন করেছে। সেখানে সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম রাখলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
‘‘এখন আইন করা হলেও এর প্রয়োগটা হচ্ছে না। এই সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কিন্তু অবগত না। আইন প্রয়োগের জন্যই আমার এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে এই আন্দোলন।’’
অতিরিক্ত বাস ভাড়া নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বাস-মালিকরা সালামির নামে গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছে। অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া রাখতেছে। এই মুহূর্তে এটা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল যারা আছেন যেমন– বিআরটিএ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, জেলা পর্যায়ের স্থানীয় প্রশাসন ইত্যাদি সকারি প্রতিষ্ঠান যেন সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নেয়।
তিনি বলেন, এখন এই দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো যদি যথাযথ কাজ করে তাহলে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না এবং সাধারণ মানুষ খুশি হবে। এজন্যই আমার এই আন্দোলন উদ্দেশ্যে।
এবারের ঈদকে ঘিরে পাঁচ দিনে প্রায় ছয় কোটি মানুষ নানা গন্তব্য থেকে ঘরমুখো হবে। ঢাকা থেকে গত সোমবার ট্রেনে ঈদ যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে যাত্রী চলাচলের মূল চাপ আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর হিসাব অনুযায়ী, বাসে ৪০ লাখ, লঞ্চে ২৭ লাখ, ট্রেনে ১০ লাখ, ভাড়া করা ও নিজস্ব মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়িতে ৩০ লাখ এবং বিমানে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ঢাকা ছাড়বে। আর ঈদের আগের দিন বা ঈদের দিন ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন ছোট যান, পিকআপ ও ট্রাকে করেও মানুষ ঘরে ফিরবে।