পদ্মা সেতু প্রস্তুত বাইকারদের জন্য, বেড়েছে লেন

মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজাসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পদ্মা সেতুর সার্ভিস লেনে বাইক চলাচল শুরু হবে। 

বুধবার (১৯ এপ্রিল) মুন্সীগঞ্জের মাওয়া উপজেলার পদ্মা সেতুর উত্তর টোল প্লাজা এলাকা পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন। 

সেতু দিয়ে চলাচলের জন্য বাইক সার্ভিস লেন তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল চালু করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সেতু কর্মীরা। পদ্মা আর দুই প্রান্তের টোল প্লাজায় বৃদ্ধি করা হয়েছে আরও তিনটি লেন। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া টোল প্লাজায় আগের ছয়টি লেনের সঙ্গে নতুন আরেকটি লেন যুক্ত হয়েছে। টোল আদায়ের বক্সটি ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। স্থাপন করা হচ্ছে কম্পিউটার। অন্যদিকে শরীয়তপুরের জাজিরা টোল প্লাজায় ছয়টির সঙ্গে আরও দুই লেন বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

চূড়ান্ত প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সেতু সচিব জানিয়েছেন, সেতুর দুই প্রান্তে টোল প্লাজায় শুধু মোটরসাইকেলের জন্য দুটি নির্দিষ্ট লেন থাকবে। তবে অন্য কোনো লেন ফাঁকা থাকলে সেই লেন দিয়েও টোল পরিশোধ করে সেতুতে প্রবেশ করতে পারবে বাইক।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে টোল পরিশোধ করে মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে। বাইকারদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন আমাদের নির্দেশনা মেনে পদ্মা সেতু পার হন। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না বলে আশা করা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়িতে যেতে পারবেন। পদ্মা সেতুর উপরে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার। মোটরসাইকেলের জন্যও একই গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো যানবাহন ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চললে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

আগামীতে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, নিয়মের মধ্যে থাকলে ঈদযাত্রা ছাড়াও পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলবে কি-না সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে ঈদযাত্রায় আমরা প্রস্তুত আছি।

এখন যদি যাত্রীরাও প্রস্তুত থাকেন অর্থাৎ নিয়ম মেনে পদ্মা সেতুসহ সব সেতু পার হন তাহলে ঈদের যাত্রা সবার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যের হবে জানিয়ে সচিব বলেন, বাইক পারাপারের জন্য ফেরিতে ১৫০ টাকা টোল দিতে হচ্ছে । আর সেতুতে টোল নির্ধারণ রয়েছে ১০০ টাকা। প্রতি মিনিটে এক লেনে চারটি বাইক টোল পরিশোধ করতে পারবে।

এ সময় পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের, নির্বাহী প্রকৌশলী রজ্জব আলীসহ সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।