একসঙ্গে ধান কাটলেন ৩ মন্ত্রী
সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে যোগ দিয়েছেন সরকারের তিন মন্ত্রী। আজ বুধবার দুপুরে জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেটে তাদের উৎসাহ দেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
এ সময় তারা কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটা, মাড়াই ও বাজারজাত করার বিষয়ে আলোচনা করেন এবং আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হাওরের বোরো ধান কেটে ফেলার আহ্বান জানান। তিন মন্ত্রী হার্ভেস্টার মেশিনের চালকের আসনে ওঠে কিছুক্ষণ ধানও কাটেন। এ সময় উপস্থিত কৃষক ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাততালি দিয়ে তাদের অভিনন্দন জানান।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিবছর হাওরে আগাম বন্যার কারণে কৃষকদের ধান ঘরে তোলার আগেই তলিয়ে যায়। তবে এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে হাওরের ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এ বছর ধানের যে দাম নির্ধারণ হয়েছে তা থেকে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।
তিনি আরও বলেন, যে বছর হাওরের ধান হয়, সে বছর সারাদেশের মানুষ খেতে পারেন। আর যে বছর হাওরের ধান তলিয়ে যায়, সে বছর খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এবার বন্যার আগেই হাওরের ধান ঘরে উঠে যাবে। এরই মধ্যে ১ হাজার ধান কাটার মেশিন হাওরের ধান কাটছে। বন্যার আদেই ধান কাটা শেষ হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জলাভূমি হাওরে আর কোনো সড়ক নির্মাণ হবে না। হাওরে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হাওরে ধান ঘরে তোলা সম্ভব নয়। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। তবে হাওরে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ হবে না। বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণা করে ফসলের সময়টা ১২০ দিনের জায়গায় যদি ১০০ দিন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পানি উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার এহসান শাহ।