ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ
হবিগঞ্জ শহরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে তরুণ যুব ও সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলায় প্রতি ঘণ্টায় এক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ না থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রাহকেরা। সোমবার (১৭ এপ্রিল) শহরের আরডি হল প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে গিয়ে জড়ো হয়।
গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রতি দুই ঘণ্টার পরপর এক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ নেওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে প্রতি ঘণ্টা ঘণ্টায় বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। তবে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসকসহ বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টজন।
তরুণ যুব ও সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল। তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণ গ্রাহকেরা বিদ্যুতের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বাসা-বাড়ির ইলেকট্রিক জিনিসপত্র নষ্টসহ ছোট ছেলে-মেয়েরা এমনিতেই এই গরম সহ্য করতে পারছে না। তার ওপর এমন লোডশেডিং আমাদের অসহনীয় দুর্ভোগে ফেলেছে।’
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে উত্তেজিত সাধারণ জনতাকে শান্ত করেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। তিনি বিক্ষুব্ধ জনতার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন সরদার জানান, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় এমনটা হচ্ছে।
প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হবিগঞ্জ পিডিবির আওতায় ১৬ থেকে ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদের প্রয়োজন। কিন্তু আমরা পাচ্ছি মাত্র ১০ থেকে ১১ মেগাওয়াট। যে কারণে আমাদের বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তবে দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’