সারাদেশে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে, বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং
প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। বাতাস লাগলেই মনে হয় যেন আগুনের ছিটা আঘাত হানছে। দেশের আটটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিকে গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরই মাঝে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে লোডশেডিং।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রবিবার (১৬ এপ্রিল) এবং সোমবার (১৭ এপ্রিল) তাপমাত্রা বাড়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকলেও তাপপ্রবাহ চলবে আরো কিছুদিন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য অংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, দাবদাহ বছরের এই সময়ের বৈশিষ্ট্য। বৃষ্টি না হলে এই সময় তাপপ্রবাহ তৈরি হয়। এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে তাপপ্রবাহ বেড়েছে। তাপপ্রবাহের সঙ্গে আর্দ্রতা বাড়ার কারণে মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। দু-তিন দিন ধরে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। ফলে ভাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু এখন রাতের তাপমাত্রা ও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির আশায় শত শত মুসল্লির নামাজ আদায়
এদিকে, অস্বস্তিকর গরমের মধ্যেই শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় লোডশেডিং। দুপুর, সন্ধ্যা, গভীর রাত কিংবা ভোর কোনো নিয়মই মানছে না। প্রচন্ড গরমের মধ্যে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সব মিলিয়ে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে সাধারন মানুষের।
তীব্র গরমের মধ্যে বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। রাস্তায় বের হলে আগুনের হল্কা এসে গায়ে লাগছে। এই গরমে বাইরে যেমন বের হওয়া যাচ্ছে না, তেমনই ঘরেও অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে তাপপ্রবাহটি বাড়ছে। প্রথমে এটি রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু জায়গা থেকে শুরু হলেও ধীরে ধীরে এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। আবহাওয়াবিদরা জানান, একটা ভালো বৃষ্টি হলে এই তাপপ্রবাহ কমে যাবে।