‘সংস্কৃতির সঙ্গে ধর্মের দ্বন্দ্ব নেই’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, সংস্কৃতি ও ধর্ম স্বতন্ত্র বিষয়। আমরা প্রকৃতি থেকে সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করি, শিক্ষা নিই। অন্যদিকে সৃষ্টিকর্তার পাঠানো পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা নেই। একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো দ্বন্দ্ব নেই।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী (১১-২০ এপ্রিল) ‘বৈশাখী মেলা ১৪৩০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান সরকারের আমলে একবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা একটি গোষ্ঠী আবারও পহেলা বৈশাখের পেছনে লেগেছে।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা নিষিদ্ধকরণের জন্য একজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আরও পড়ুন: মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ছাত্রলীগের বাধার অভিযোগ
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিকের চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবুর রহমান।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, পহেলা বৈশাখে প্রতিহত করার জন্য কিছু ধর্মান্ধ গোষ্ঠী নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে বর্তমান সরকারের তৎপরতার কারণে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং বাংলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এই মেলার।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিসিকের উদ্যোগে দেশের কারু শিল্পীদের মধ্যে তাদের কাজের দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরুপ কারুশিল্পী পুরস্কার-১৪২৯ প্রদান করা হয়, যার মধ্যে ১ জন শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পীকে কারুরত্ন এবং ৯ জন দক্ষ কারুশিল্পীকে কারুগৌরব পুরস্কার প্রদান করা হয়। মেলায় মোট স্টল থাকছে ৮৮টি যার মধ্যে চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য ১৩টি, ফ্যাশন/বুটিকস পণ্য ৪৮টি, খাদ্যজাত পণ্য ১০টি, বাঁশ, বেত ও হস্তশিল্প ৫টি, বিসিক মধু ২টি, কমর্রত কারুশিল্পী ১০টি।