বাঙালি তার সংস্কৃতিকে বর্জন করেনি, পাকিস্তানকে বর্জন করেছে: সৌমিত্র শেখর
বাঙালি তার সংস্কৃতিকে বর্জন করেনি, পাকিস্তানকে বর্জন করেছে- বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের বাংলা নববর্ষ পালনে বাঁধা তৈরি করেছিলেন। তারা বলেছিলেন আমাদের এই সংস্কৃতি পাকিস্তানের সংস্কৃতির সাথে চলবে না। কিন্তু বাঙালি তার সংস্কৃতিকে বর্জন করেনি, পাকিস্তানকে বর্জন করেছে। পরবর্তীকালে যতরকমের সামরিক স্বৈরাচার এসেছে তারাও বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছিলেন, বাঙালি কিন্তু তার সংস্কৃতিকেই রক্ষা করেছে। বাঙালি তার সংস্কৃতি সামনে নিয়ে এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি রক্ষার জন্য আমরা সবসময় জাগরুক আছি, আমরা সবসময় একতাবদ্ধ আছি। সামনের বছর অত্যন্ত সুন্দর ভাবে যেন কাটে, দেশে গণতন্ত্র যেন সুরক্ষিত থাকে, দেশে যাতে উন্নয়নের ধারা আরও বেগবান হয়, বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে পেছনে ফেলে আমরা যেন আমাদের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যয়।
আরও পড়ুন: এক বিস্ফোরণে মারা গেল ১৮,০০০ গরু।
এদিন ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধ্বনি মঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত ও বৈশাখকে আহ্বান করে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর জয়ধ্বনি মঞ্চ থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক তপন কুমার সরকারসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
শোভাযাত্রায় সামনে-পেছনে বাদ্যের তালে তালে চলে নৃত্য, হাতে হাতে ছিল বাহারি মুখোশ। পুষ্পাকৃতির চরকি, টেপা পুতুল আর পাখির শিল্পকাঠামো শোভাযাত্রাকে দেয় বাঙালির চিরায়ত আবহ। এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষ্যে জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে ফানুস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।