১৩ বছরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গঠিত হয়নি যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হলেও ১৩ বছরের অধিক সময়েও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়নি গ্লোবাল ফান্ড ফর উইমেন (চ্যাম্পিয়নস ফর ইক্যুইলিটি) এর নারীপক্ষ।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডির নাসরীন হক সভাকক্ষে ‘যৌন হয়রানিমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়তে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) কামরুন নাহার বলেন, যারা কমিটি গঠন করেনি, সম্প্রতি তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে এও বলা হয়েছে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও যৌন হয়রানি প্রতিরেরাধ কমিটি গঠন করেনি, তা আদালত অবমাননা কর সামিল হবে। এরপরেই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কমিটি পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা একটা গাইড লাইন করেছি। এতে একটা মেয়ের জীবনও যদি বেঁচে যায়, তাহলেই আমাদের স্বার্থকতা। তবে যে যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করলে অনেক সমস্যা সমাধান হবে।
সভায় অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
আরও পড়ুন: ৬১ পদে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ, আবেদন শুরু ১৬ এপ্রিল।
আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) কামরুন নাহার, পিএসটিসির শিরোপা কুলসুম, ঝিনাইদহর আলহেরা ইন্সটিটিউটের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল, ঝিনাইদহের সমাজকর্মী শরীফা খাতুন, যশোরের সংকল্প বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম খান বুলবুল, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির জান্নাতুল তাজরীন, গাইবান্ধার মাজেদা খাতুন কল্পনা, নিশাত তানজিম মুন, এফপিএবি এর হোসনে জাহান, ডিএসকে এর নিগার সুলতানা নীপা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘নতুন প্রজন্মের নারীর নেৃতত্ব বিকাশ’ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উজ্জীমান আক্তার। নারীপক্ষের সদস্য রিনা রায়, প্রকল্প সমন্বয়কারী কামরুন নাহার, সদস্য ফরিদা ইয়াছমিন।
প্রসঙ্গত নারীকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের অধিকারসম্পন্ন নাগরিক ও মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৩ সাল থেকে নারীপক্ষ কাজ করে আসছে। ‘নতুন প্রজন্মের নারীর নেতৃত্ব বিকাশ’ শীর্ষক প্রকল্পটি সহযোগী নারী সংগঠন এবং স্থানীয় তরুণদের সম্পৃক্ত করে ছয়টি জেলার (মানিকগঞ্জ, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ ও সিলেট) ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণ এবং নারীর উপর সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে।