শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে। আজ সকাল ১০টার পর বারডেমের হিমঘর থেকে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করছেন রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এর আগে বুধবার (১২ এপ্রিল) গগণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলতাফুন নেছা মায়া সংবাদ সম্মেলনে জানান, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। দুপুর ২টায় রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।
এছাড়া জানাজার জন্য দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেয়া হবে মরদেহ। এর পরদিন শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বাদ জুমা তার দ্বিতীয় জানাজা হবে। তবে দাফনের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
৮২ বছর বয়সী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। করোনার পর কিডনি সমস্যার পাশাপাশি তার লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া তিনি অপুষ্টিজনিত রোগসহ গুরুতর সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টার দিকে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মারা যান ডা. জাফরুল্লাহ।
১৯৮২ সালে চালু হওয়া ‘জাতীয় ওষুধনীতি’ প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই ওষুধনীতি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বা বিএমএ থেকে। তার ওষুধনীতি বাংলাদেশের ওষুধ খাতে বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং এ জন্যই আজকের বাংলাদেশে ওষুধ খাতের এত উদ্যোক্তা বলে মনে করেন অনেকে।
এদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি সবসময় চেষ্টা করেছেন দেশের ভালোর জন্য নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার। তার ব্যতিক্রম ঘটলো না মৃত্যুর পরেও। সদ্য প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার দেহ দান করে গেছেন। মরণোত্তর দেহদানের মাধ্যমে নিজের শরীরকেও তিনি মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দিয়েছেন।
বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্য সামিয়া। ডা. জাফরুল্লাহ পরিবারের সম্মতি নিয়েই রেখেছিলেন। সে অনুযায়ীই সবকিছু হবে। মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে। সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।