প্রধানমন্ত্রীর সাথে শেষ দেখায় যা বলেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি সবসময় চেষ্টা করেছেন দেশের ভালোর জন্য নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার। তার ব্যতিক্রম ঘটলো না মৃত্যুর পরেও। সদ্য প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার দেহ দান করে গেছেন। মরণোত্তর দেহদানের মাধ্যমে নিজের শরীরকেও তিনি মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দিতে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি থেকে শুরু করে জীবনের নানা সময়ে কাজ করেছেন মানুষকে স্বল্প খরচে স্বাস্থ্য সেবা, ওষুধ কেনার সুযোগ করে দেয়ার মিশনে। তবে শেষ বয়সে রাজনীতিতে অনেকটাই সক্রিয় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ।
বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী হিসেবে প্রচারণা থাকলেও বাস্তব কথা বলতেন কাউকে ছাড়তেন না জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সরকারের কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি নানা সময় কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে নিয়েও।
আরও পড়ুন: নিজের দেহটাও দান করে গেছেন ডা. জাফরুল্লাহ।
গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে দেখা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। কুশল বিনিময় শেষে সেখানে তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের পরামর্শ দেন সরকার প্রধানকে।
ছবিতে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী যখন দাঁড়িয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলছেন তখন পাশে নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও তার স্ত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংসদের হুইপ আ স ম ফিরোজকেও একটি ছবিতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, কুশলাদি বিনিময়ের এক পর্যায়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দ্বাদশ নির্বাচন ইস্যুতে সৃষ্ট সংকট নিরসনে বিএনপিসহ বিরোধী দলকে সংলাপে ডাকতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন।
যদিও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই আহ্বানে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি বলে জানা গেছে। উল্টো তিনি অতীতে সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করা, আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ার পর গুলশানের কার্যালয়ে গেলেও গেট বন্ধ করে রাখা, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।