০৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৪৬

‘অস্থায়ী বঙ্গবাজার’ গড়ছেন ফারাজ, দোকানদার নিজেই

‘অস্থায়ী বঙ্গবাজার’ গড়ছেন ফারাজ  © সংগৃহীত

রাজধানীর বঙ্গবাজারের আগুনে দোকান ও গোডাউন পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫ হাজার ব্যবসায়ী। বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা ভেজা ও পরিত্যক্ত কাপড় কেনা শুরু করেছেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ফারাজ করিম চৌধুরী। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাটে সরাসরি গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। সেখানকার দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে একটি ভিডিও’র মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। 

বুধবার (৫ এপ্রিল) ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা পোশাকগুলো কিনে নিয়েছেন তিনি। প্রথম ধাপে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার এসব পণ্য কিনেছেন এ তরুণ রাজনীতিক।

জানা গেছে, বঙ্গবাজারের যে কাপড়গুলো আর বিক্রি করা সম্ভব না সেই কাপড়গুলোই কিনছেন তিনি। পরে গুলশানে ‘অস্থায়ী বঙ্গবাজার’ নামে একটি স্টল করে কাপড়গুলো সেখানে বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা পুনরায় অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের নিকট হস্তান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। যাতে করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীরা আবারও তাদের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে তাদেরকে পুনরায় ব্যবসা করার জন্য সহযোগিতা করতে নিজের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বঙ্গবাজারে ভস্মীভূত এলাকা পর্যবেক্ষণ করার সময় ফারাজ করিম চৌধুরীর সাথে অর্ধশত স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁরা ব্যবসায়ীদের মালামাল উদ্ধারে সহযোগিতা করেন।

এ প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, এই মুহূর্তে দুইভাবে মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে। শুধু কাউকে ৫ হাজার বা ১০ হাজার টাকা দিলে কিছুই হবে না। এরা কেউ কারো দান গ্রহণ করার মতো মানুষ না। দান গ্রহণ করার ব্যাপারে কাউকে আমি ছোট করতে চাই না। তারা ব্যবসায়ী, তারা নিজেদের আত্মসম্মান নিয়ে ব্যবসা করেন। তাদের যতটুকু সম্ভব ব্যবসায়িকভাবে সহযোগিতা করতে হবে। 

আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের পোড়া লুঙ্গি কিনলেন তাহসান, দাম এক লাখ টাকা

এজন্য প্রথম ধাপে আমি তাদের কাছ থেকে লাভ দিয়ে পণ্য কিনে নিয়ে পরে আমি নিজে একজন দোকানদার হয়ে গুলশানে এগুলো বিক্রি করবো। এর থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে পুনরায় সেসব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আরও পণ্য কিনবো, সেগুলো আবার গুলশানে এনে নামিদামি মানুষদের কাছে বিক্রি করে সেই টাকা অন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেব।

ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, "অতীতে দেশের সকল মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের মানুষ দেশের মানুষের পাশে ছিল। বঙ্গবাজারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বর্ণনাতীত। আমরা সকল দেশবাসীকে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি আবারো দিচ্ছি (ইনশাআল্লাহ)। যেসব ব্যবসায়ী সব কিছু হারিয়ে পথে বসেছে তাঁদেরকে আমরা পরিপূর্ণ সহযোগিতা করবো (ইনশাআল্লাহ)।"