০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৩

পরার উপযোগী কাপড় কিনবে বিদ্যানন্দ, বিতরণ হবে বিনামূল্যে

পরার উপযোগী কাপড় কিনবে বিদ্যানন্দ  © সংগৃহীত

রাজধানীর বঙ্গবাজারের আগুনে মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দোকান ও গোডাউন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫ হাজার ব্যবসায়ী। অনেকের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এর মধ্যেও কিছু কাপড় পানিতে ভিজেছে, দাগ লেগেছে, নয়তো খানিকটা পুড়েছে। চাইলে এসব কাপড় ঘরের বাইরে না হলেও ভেতরে পরতে পারবেন অনেকে। অনেক ব্যবসায়ী পোড়া, দাগসহ কিছু কাপড় উদ্ধার করেছেন। তবে সেই কাপড় নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। তাদের জন্য এগিয়ে এসেছে বিদ্যানন্দ। 

সরকারসহ এরইমধ্যে অনেকেই তাদের সাহায্যেএগিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন। তবে সামাজিক বিভিন্ন কাজে প্রশংসিত বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়েছে ভিন্ন উদ্যোগ। ভেরিফায়েড ফেসবুকে অ্যকাউন্টে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পোড়া কাপড় কেনার তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি। বিতরণও হবে বিনামূল্যে। সংগঠনটির হয়ে কাজ করছেন ১৩ জন স্বেচ্ছাসেবক।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফেসবুকে লিখেছে, ‘আগুনে দাগ লেগে যাওয়া একটা কাপড় কি আপনার ঈদের বাজেট থেকে কিনতে চাইবেন? একটু দাগ না হয় থাকছে কাপড়ে, কিন্তু একটা সংসারের কষ্টের দাগ তো মুছবে!

বিদ্যানন্দ বিক্রয়ের অনুপযোগী কিন্তু পরার উপযোগী কাপড়গুলো কিনে নিতে চায় বিনামূল্যে বিতরনের জন্য। পরিবেশগত কারণে এগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত চাই। 

পরে আরেকটি পোস্টে বিদ্যানন্দ জানিয়েছে, লাখ টাকায় পোড়া কাপড় কিনতে চেয়েছেন এক শুভাকাঙ্ক্ষী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা কল দিচ্ছেন পোড়া কাপড় কিনতে। বিদেশ থেকে প্রবাসীরাও ঈদের পোশাকে রাখতে চান ঝলসে যাওয়া একটা কাপড়। "উপহাসের জন্য হয়তো পরতে পারবো না বেশিদিন, তবে আলমিরাতে অনেক যত্ন করে রেখে দিবো স্মৃতি হিসেবে"

তারা এ সহায়তার জন্য বিকাশ-রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এবং পেপাল নম্বরও দিয়েছে–
 
বিকাশ (মার্চেন্ট): 01878116230 (counter no: 1)
বিকাশ (ব্যক্তিগত): 01708521955 , 01708521956
নগদ (মার্চেন্ট): 01631554646 (counter no: 1)
রকেট (ব্যক্তিগত): 017141180737, Biller ID 151
পেপল - donate@bidyanondo.org See less
 
এর আগে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে আগুনে পুড়ছিল বঙ্গবাজারের বেশ কয়েকটি মার্কেট। সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর বেলা ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার। অগ্নিকাণ্ডে বঙ্গবাজারসহ আশপাশের ছয়টি মার্কেটের পাঁচ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।