০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০০:৪৯

দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশী তাকরীম 

হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম  © সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে কিছুদিন আগে দুবাই গিয়েছিলেন ঢাকার  হাফেজিয়া ও কওমি মাদ্রাসা ‘মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী ঢাকা’র শিক্ষার্থী সালেহ আহমাদ তাকরীম। তিনি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে সুনাম বয়ে এনেছেন। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তাকরীম। আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাতে এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআন প্রতিযোগিতায় সবাইকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশের তাকরীম। দ্বিতীয় হয়েছে ইথিওপিয়ার আব্বাস হাদি ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন সৌদি আরবের খালিদ সুলাইমান। এর আগে ২০২০ সালে প্রথমে জাতীয় পর্যায়ে কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন হাফেজ তাকরীম। সেই প্রতিযোগিতায় তিনি বিজয়ী হন। এরপর পর্যায়ক্রমে দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে গৌরব বয়ে আনেন।

পবিত্র রমজানে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সারা বিশ্বের কৃতী হাফেজরা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় লড়েছেন। গতবছর সৌদি আরবে বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছিলেন হাফেজ তাকরীম। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তার চেয়েও বড় কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। 

হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীমের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। তার বাবাও একজন কোরআনের হাফেজ। নাম আবদুর রহমান। একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন তিনি। তাকরীমের মা একজন গৃহিণী।

এদিকে হাফেজ তাকরীমের প্রথম স্থান অধিকার অর্জন করায় বাংলাদেশ দূতাবাস তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। একইসাথে বাংলাদেশ কমিউনিটির মাঝে ব্যাপক আনন্দ-উল্লাস বিরাজ করছে।  

দুবাই সরকার আয়োজিত বিশ্বের সকল দেশের হাফেজগণ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছে বিগত ২৬ বছর ধরে। ২০২৩ সালের ২৬ তম আসরে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের হাফেজ তাকরীমকে প্রথম হিসেবে ঘোষণা করা হয় দুবাইয়ের আল মামজার এলাকায় অবস্থিত কালচারাল এন্ড সায়েনটিফিক এসোসিয়েসন মিলনায়তনে।