পদ্মা সেতুতে ট্রেনের প্রথম চালক রবিউল ইসলাম
আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পদ্মা সেতুর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে পরীক্ষামূলকভাবে ‘বিশেষ ট্রেন’ যাত্রা শুরু করেছে। এই ট্রেনে প্রথম যাত্রী হিসেবে ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এই ট্রেনের চালক হয়ে ইতিহাসের অংশ হতে পেরে গর্বিত তিনি।
ট্রেনের লোকো মাস্টার (চালক) রবিউল ইসলাম বলেন, যখন জানতে পারলাম যে পরীক্ষামূলক প্রথম ট্রেন চালাবো তখন থেকেই উচ্ছ্বাস কাজ করছে। ইতিহাসের অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে।
তিনি আরও বলেন, আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত পদ্মা সেতুতে ট্রেন চালানোর প্রথম চালক হতে পেরে।
বর্তমানে রেলপথে ঢাকার সঙ্গে খুলনার দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন রেলপথটি চালু হলে দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। তখন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব হবে ১৬৯ কিলোমিটার।
পাশাপাশি কুষ্টিয়া, দর্শনার সঙ্গেও কমবে দূরত্ব ও ভোগান্তি। অন্যদিকে ফরিদপুর, রাজবাড়ী রুটের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে নতুন পথে নতুন রেলযাত্রী তৈরি হবে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা দিয়ে যশোরের সঙ্গে রেল নেটওয়ার্ক যুক্ত হবে।
এ বিষয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, পুরো ৪২ কিলোমিটার পথে গ্যাংকার চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণে প্রথমে যে পরিকল্পনা করা হয়, তাতে রেলওয়ে ট্রাক বসানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর রেল চালুর বিষয়টি যুক্ত করা হয়।
সড়ক সেতুর নিচ দিয়ে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করায় ঢাকার সঙ্গে যশোর রেললাইন নির্মাণে আলাদা প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।