আগুন লাগলে যে দোয়া পড়বেন
অনেক সময় সতর্ক থাকার পরও অসাবধনতার কারণে আগুণ ছড়িয়ে পড়তে পারে ভবন-মার্কেটসহ যেকোনো জায়গায়। যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং নিভে যেতে পারে তরতাজা প্রাণ ও সহায় সম্পদ।
তাই কোথাও আগুন লাগলে আশপাশে যারা থাকেন, তাদের উচিৎ আগুন নেভানোর যাবতীয় চেষ্টা অব্যাহত রাখার, আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করা ও মাসনুন দোয়া পড়া। আগুন দেখে হতাশ না হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তা নিভানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
অগ্নিকাণ্ডের স্থানের আশপাশে যারা থাকেন তারা আগুন নেভানোর যাবতীয় চেষ্টা অব্যাহত রাখার সঙ্গে সঙ্গে এই আমলগুলোও করলে, আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা করে দেবেন।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা যখন কোথাও আগুন দেখো, তখন তোমরা তাকবির দাও। কেননা, তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে। (তাবরানি, হাদিস নং: ১/৩০৭)
তাকবির হলো: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।
অর্থ : আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘এ জন্য নামাজ, আজান ও ঈদের নিদর্শন হলো তাকবির। উঁচু স্থানগুলোতে অথবা কোনো যানবাহনে আরোহন করলে তাকবির পাঠ করা মুস্তাহাব। আগুন যত প্রলয়ঙ্করী হোক, তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে। (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা: ৫/১৮৮)
এছাড়াও কোরআনে বর্ণিত একটি আয়াত রয়েছে। যেটি পড়লে আগুন নেভাতে প্রভাব পড়ে, আগুনের ক্রিয়া নিস্তেজ হয়ে আসে। আল্লাহর নবী ইবরাহিম (আ.)-কে আগুন যেন স্পর্শ না করে, সে নির্দেশ দিয়েছিলেন মহান আল্লাহ তাআলা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ হয়েছে, ‘يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ’ উচ্চারণ: ইয়া না-রু কু-নি বারদান ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম। অর্থ : ‘হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও। ’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৬৯)