সব বাহিনীর সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে বিজিবি, সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী ও ঢাবি শিক্ষার্থীরা। উপস্থিত জনতাকে সরাতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ঢাকার সবগুলো ফায়ার ইউনিটকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিমানবাহিনী। এর কিছুক্ষণ পরে পৌঁছায় সেনাবাহিনী। পরে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের সঙ্গে দিয়েছে নৌ বাহিনী। এরপর সব শেষ যোগ দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রাজধানীর বঙ্গবাজারে লাগা আগুন। উৎসুক জনতার কারণে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। এ অবস্থায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এ কাজ করতে দেখা গেছে।
এ সময় তাদের উপস্থিত উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দেওয়া, ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় না যেতে সাবধান করতে দেখা যায়। এছাড়া কেউ কেউ ব্যবসায়ীদের মালপত্র সরাতেও সহযোগিতা করছেন। এ কাজে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারে নেয়া হচ্ছে হাতিরঝিলের পানি
এক শিক্ষার্থী বলেন, আগুনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে অনেক উৎসুক জনতা ভিড় করছেন, তাদের জন্য কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই তাদের সরিয়ে দিচ্ছি। এনক্সকো ভবনসহ কয়েকটি ভবন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ওইসব জায়গায় যাতে কেউ না যান সেদিকে খেয়াল রাখছি। আমরা যতটা সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পুকুর থেকে ১০টি পাইপ লাগিয়ে পানি নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। এখন পুকুরের পানিও প্রায় শেষদিকে।
এদিকে, রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে গেছে বঙ্গবাজারের আকাশ। তবে বাতাসের কারণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আগুনের তীব্রতা।
তবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পানি সংকট দেখা দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের। পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। হাতিরঝিল থেকে কয়েক দফায় হেলিকপ্টারে পানি নিয়ে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।