প্রথম আলোর ঘটনায় দেশের মানুষ মুখ খুলেছে, প্রতিবাদ করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রথম আলো'র ঘটনার ব্যাপারে সমগ্র দেশের মানুষ মুখ খুলেছে, প্রতিবাদ করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ক্ষমা চায়নি। বরং এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচারও একটি অপরাধ।
আজ রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে দেশে প্রতিদিন পত্রিকা, টিভি, অনলাইনে রিপোর্ট হয়েছে এবং হচ্ছে। মামলা তো দূরে থাক, কাউকে এ নিয়ে প্রশ্নও করা হয়নি। তাই শামসুজ্জামানকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে লেখার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এটিও একটি অপরাধ। এটার জন্য আবার কেউ মামলা করে কি না সেটিও দেখার বিষয়।
তিনি বলেন, সারাদেশে এ নিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। ফেডারেল ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক, ঢাকা আইনজীবী সমিতি, এডিটরস গিল্ড, বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম, সংবাদপত্র পরিষদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাসহ অনেকেই বিবৃতি দিয়েছে।
সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ভোররাতে গ্রেপ্তার নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, মামলা হওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাত ৪ টায় অনেক সংসদ সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়। দেশে কয়েক দফা মন্ত্রী ছিলেন এবং বড় রাজনীতিবিদ তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা সবাই জেলে গেছি বেশির ভাগকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কই তখন তো কোনো প্রশ্ন আসেনি। রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, এমপি যারা ছিলেন তাদেরসহ সবাইকে রাতে গ্রেপ্তার করা যাবে কিন্তু একজন সাংবাদিক যদি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে কটাক্ষ করে, একজন শিশুকে এক্সপ্লয়েট করে আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব খাটো করে, তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না এমন আইন তো নাই। মামলা দায়ের হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখানে দেখতে হবে, তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়েছে কি না। নির্যাতনের কোনো অভিযোগ তো আসে নাই।
তথ্যমন্ত্রী হিসেবে সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সবসময় চেষ্টা করি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যখনই কোনো সাংবাদিক হয়রানির স্বীকার হয় তখন সবার আগে হস্তক্ষেপ করি। আমাদের মনে রাখতে হবে, সবার ওপরে আমরা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে স্থান দেই এবং সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে যেন এমন কোনো কাজ না করি যাতে করে সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী, দেশবিরোধী কোনো কিছু হয়।