বেরোবার পথ নেই, মই বেয়ে মাদ্রাসায় যায় শিক্ষার্থীরা
কুমিল্লার মুরাদনগরে একটি বাড়ির সীমানা প্রাচীরে দেয়াল তোলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন একটি মাদ্রাসার প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করতে গিয়ে এমন কান্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, উপজেলার ১২ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বাখরাবাদ গ্রামের প্রভাবশালী মাইনুদ্দিনের বাড়ির পাশে কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় রাবেয়া বসরী মাদ্রাসা। তার পাশে বসবাস দুটি পরিবারের। মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পরিবার দুটির সদস্যদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা ছিল মাইনুদ্দিন ও শফিকুলের জমির ওপর দিয়ে। কিন্তু তিনি হঠাৎই তার বাড়ির চারপাশে ইটের সীমানা দেয়াল তুলে দেন। এতে বাধ্য হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিন মাদ্রাসায় যেতে হচ্ছে বাঁশের মই বেয়ে প্রতিবেশীদের দেয়াল টপকে। আবার তাদের বাড়ি ফিরতেও হয় দেয়াল বেয়ে। গত দশ দিন ধরে এভাবেই চলছে। দু-তিনবার পা ফসকে পড়ে গিয়ে আহতও হয়েছে অনেকে।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ নজরুলের অভিযোগ, জমির মালিক রাস্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পরে সস্তায় জমি কেনার কৌশল হিসেবে প্রথমে কৃষকের রাস্তা বন্ধ করে ইট দিয়ে ৭ ফুট উঁচু সীমানা প্রাচীর তৈরি করেন। ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মাদ্রাসা ও পরিবারটি। গত কয়েক দিনে রাস্তা পেতে ইউএনও, ইউপি চেয়ারম্যান, থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে কমপক্ষে ১২ বার গেছেনতিনি। সবাই সালিশ করেছেন। তবে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত শফিকুলের ভাই মাইনুদ্দিন বলেন, ‘প্রাচীর নির্মাণ করে আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমার জমিতে আমি প্রাচীর নির্মাণ করেছি। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।’
মুরাদনগরের ইউএনও মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনী বলেন, ‘অবরুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আমি জেনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য। এর পরও ভুক্তভোগীরা আদালতের সহযোগিতা নিতে পারেন।’