‘জিয়া ৭২ এর সংবিধানকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলেছিলো’
জিয়া ৭২-এর সংবিধানকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলেছিলো এবং মুক্তিযুদ্ধের যে চারটি মূলনীতি তা পরিবর্তন করে আবারো পাকিস্তানি শাসন শুরু করেছে। তারা সব সময় মুক্তিযুদ্ধকে ধর্মের প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। যখন ভাষা আন্দোলন হয়েছিলো তখন তারা ফতুয়া দিয়েছিলো বাংলা হিন্দুদের ভাষা। পাকিস্তানে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় ভাষা হলে ইসলাম ধর্ম থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের মা-বোনদের উপর চলা নির্যাতনের পক্ষে ও এরা ফতুয়া দিয়েছিলো। এরা বলেছিলো এটা গনিমতের মাল। গনিমতের মাল ভোগ করা জায়েজ বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে 'খুনী মোশতাক ও জিয়ার অবৈধ সরকারের কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন এক কালো আইন' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের হত্যা কান্ড ব্যাক্তি কেন্দ্রীক ছিলো না। মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা, তথা যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিলো সেটাকে হত্যা করা হয়েছে সেই দিন। খুনী মোশতাক ও জিয়া মহান মুক্তিযুদ্ধকে বানচাল করার মাধ্যমে পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছিলেন এবং পাকিস্তানের সাথে আপোষ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযুদ্ধকে বানচাল করার লক্ষ্যে পাকিস্তানের সাথে লুজ কনফেডারেশন করা এবং যুক্তি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে ছাড়িয়ে আনার প্রস্তাব রেখেছিলো।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর এবং আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস ও অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, এরকম মহান নেতার দৃষ্টান্ত পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব জহির উদ্দিন জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব:) মফিজুল হক সরকার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার।