১৯ মার্চ ২০২৩, ১২:১৫

উন্নয়নের শীর্ষে দেশের পশ্চিমের জেলা মেহেরপুর

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন  © ফাইল ছবি

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, উন্নয়নে মেহেরপুর জেলা সারা বাংলাদেশের মধ্যে শীর্ষেস্থানে অবস্থান করছে। মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুহাত ভরে বরাদ্দ দিচ্ছেন। তাই জেলার মানুষ এখন খুশি।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জেলার গ্রাম থেকে গ্রামের রাস্তা, ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়নের রাস্তা, উপজেলা থেকে উপজেলা ও জেলার সকল রাস্তাগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মেহেরপুরে বাইপাশ সড়ক নির্মাণ হয়েছে। মেহেরপুর—চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর—মুজিবনগর ও মুজিবনগর—দর্শনা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এখন প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যায়ে মেহেরপুর—কুষ্টিয়া রাস্তা উন্নয়ন কাজ চলমান।

তিনি বলেন, এই জেলায় আর কোনো স্কুলের বিল্ডিং নির্মাণ বাকি নেই। প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর সুরম্য ভবন এখন আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। জেলার ভৈরব নদ, স্বরসতি খাল, সেউটিয়া নদীসহ বিভিন্ন খাল ও শ্যামপুরের রুইমারির খাল খনন করা হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ায় জেলার হাজার হাজার মানুষ অটো রিকশা কিনে এখন উপার্জনের পথ পেয়েছেন।

মেহেরপুর এখন শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখন চুরি ডাকাতি না থাকায় মানুষ রাতে নির্ভয়ে ঘুমাতে পারে। জেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিয়ে মানুষ নির্বিঘ্নে যেতে পারে। কেউ তাদের মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়না। পায়ে গরুর দড়ি বেঁধে ঘুমাতে যায়না। অথচ, জামায়াত বিএনপির আমলে মানুষ ঘুম থেকে উঠে খবর নিতে কোনো কোনো বাড়িতে ডাকাতি ও খুন হয়েছে। অথচ এখন সকালে ঘুম থেকে উঠে খোঁজ নেন, কোন কোন বাড়ি দোতলা হয়েছে। আমাদের সন্তান এখন বিনা পয়সায় বছরের শুরতে বই পাচ্ছেন। গরীব মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ প্রকারের ওষধ বিনা পয়সায় পাচ্ছেন। মানুষের আয় উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মেহেরপুরে ১৫শ দরিদ্র মানুষকে গরু কেনার জন্য এক লাখ ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। নারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। আগে মানুষের মজুরি ছিল মাত্র ৬০ টাকা সেই মজুরি এখন বেড়ে ৫ থেকে ৭শ টাকা হয়েছে। মানুষ এখন ভাল আছে। নিরাপত্তার সঙ্গে ঘুমাতে পারছেন। সব ধরনের খাবার খেতে পারছেন।

শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মহা. আব্দুস সালাম, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, সাধারণ সম্পাদক ও বারাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মেমিন, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজামান।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।