সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষায় পরিপূর্ণতা আনে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা চর্চার মতো সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা পরিপূর্ণতা লাভ করে। এর প্রসারে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ আয়োজিত ‘১২তম আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড-২০২৩’এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক ও জাতি বৈচিত্র্যময় এদেশে কেউ ডাক্তার, কেউ প্রকৌশলী, কেউ শিক্ষক, কেউ সরকারি কর্মকর্তা, কেউ গবেষক হবে বা তাদের পছন্দনীয় পেশা বেছে নেবে। কিন্তু সকলের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। সেটি হলো উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের সে আকাংক্ষা বাস্তবায়ন হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, যেকোনো প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়া বড় কথা নয়, অংশগ্রহণই মুখ্য। বিজয়ী ও বিজিতদের মধ্যে ব্যবধান সামান্য।
ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুলের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ জলদোশভ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. হাকিম আরিফ।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরের মতো এবারও ইংরেজি মাধ্যম ও ইংরেজি ভার্সন স্কুলের শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড। সারা দেশের প্রায় একশ'টি স্কুলের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এবারের দ্বাদশ আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭০ টি স্কুলের ৯০ টি শাখা এ বছর বাংলা অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেছে। বাংলা অলিম্পিয়াডের যুগ-পূর্তিতে এসে এ বছরই প্রথমবারের মতো সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।