মোবাইল ডাটায় এক দেশ এক রেট চালুর উদ্যোগ চান টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী 

মোবাইল ডাটায় এক দেশ এক রেট চালুর উদ্যোগ চান টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী 
মোবাইল ডাটায় এক দেশ এক রেট চালুর উদ্যোগ চান টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী   © টিডিসি ফটো

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মোবাইল হ্যান্ডসেট কেবল কথা বলার মাধ্যম নয় বরং এটা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। মোবাইল ডাটার মেয়াদ বেঁধে দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও ব্রডব্যান্ডের মতো এক দেশ এক রেট চালুর উদ্যোগ নিতে বিটিআরসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ন করতে সাশ্রয়ী স্মার্ট ডিভাইস প্রাপ্তি তথা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইন্টারনেট ভিত্তিক পরামর্শমূলক কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

মন্ত্রী বলেন, মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রিতে সরকারকে ভ্যাট দিতে হয়, যা মওকুফের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রিতে কর মওকুফের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। ২০৪১ সালকে সামনে রেখে ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্ভাব্য পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও জনগণের চাহিদা উপযোগী ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষে অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।

এ সময় সচিব বলেন, সুলভে স্মার্ট ডিভাইস উৎপাদনের পাশাপাশি ওই ডিভাইস সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ব্যবহারের সুযোগের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি জানান, জাতীয় ব্রডব্যান্ড পলিসিতে স্বপ্ল ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকা দরকার।

বৈঠকে অন্যান্য বক্তারা বলেন, মোবাইলের ভ্যাট মওকুফে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ভ্যাট কমলে মোবাইল ফোনের দাম কমবে বলে মনে করেন তারা।

কর্মশালায় জানানো হয়, বিটিআরসি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহযোগিতায় বাংলাদেশের জন্য সময়োপযোগী জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন বলেন, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা অনেক বেড়েছে। ধনী-দরিদ্র ও নারী-পুরুষনির্বিশেষে ডিজিটাল বৈষম্য নিরসন রাষ্ট্রীয় সেবা দ্রুত সময়ে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

সাশ্রয়ী মূল্যে স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে করণীয় বিষয়ে উপস্থাপনায় বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ জানান, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির মূল ভিত্তি হবে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গর্ভনমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি।

তিনি জানান, দেশে ২০১৩ সালে যেখানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২০২২ সালে তা ৫৩ দশমিক ৬৮ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং বর্তমানে ১৫টি কারখানায় স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদিত হচ্ছে, যার বার্ষিক বাজার মূল্য ১৫ হাজার কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ