১৬ মার্চ ২০২৩, ১৪:০৬

ঈদের আগে মোটরসাইকেল চলতে পারে পদ্মা সেতুতে

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল   © সংগৃহীত

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকলেও ঈদ উল ফিতরের আগেই মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিতে পারে সরকার। এজন্য সেতু মন্ত্রণালয় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের কাছে এ–সংক্রান্ত নথিপত্র পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

পদ্মা কর্তৃপক্ষের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রকৌশলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ নিচ্ছেন। এ–সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি জানান, অনুমতি পেলে ঈদুল ফিতরের আগেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে পারে। মোটরসাইকেল সেতুর দুই প্রান্তের আলাদা দুটি লেন দিয়ে চলাচল করবে বলে ওই প্রকৌশলী জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যা জানা গেল।

তিনি আরও জানান, গত সপ্তাহে সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে জাজিরার শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি সভা হয়েছে। ওই সভায় সেতু কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তরে এর আগে ৬ মার্চ সচিবালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আপাতত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়া নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। 

উল্লেখ্য, উদ্বোধনের প্রথম দিন রাতেই সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হয়। এরপর ওই সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও থেমে নেই পারাপার। মোটরসাইকেল চালকরা ট্রাক-প্রিকআপ ভ্যানে করে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করে সেতু পার হচ্ছেন। সেতুতে মোটরসাইকেলের নির্ধারিত টোল ১০০ টাকা হলেও ট্রাকে একটি মোটরসাইকেল পার করতে খরচ হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ অবস্থায় রাজস্ব হারাচ্ছে সেতু কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে মোটরসাইকেলচালকদের আট–দশ গুণ বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে।