শেষ হলো সিটিসেলের যাত্রা

শেষ হলো সিটিসেলের যাত্রা
শেষ হলো সিটিসেলের যাত্রা  © সংগৃহীত

ডাক ও টেলিযোগ বিভাগ দেশের প্রথম মোবাইলফোন অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিল করেছে। যার ফলেশেষ হলো সিটিসেলের যাত্রা। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসিতে মোবাইল ফোন অপারেটর লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদনের চিঠি এসেছে। সিডিএমএ প্রযুক্তির একমাত্র অপারেটরটির কাছে থেকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ২১৮ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

সূত্রে জানা যায়, এর আগে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিটিআরসির কমিশন বৈঠকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠায় বিটিআরসি। 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব এস এম তারিকের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন সভার সিদ্ধান্ত ও বিটিআরসির সুপারিশ মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারের প্রাপ্য বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর ৪৬(৩) (খ)-এর বিধান অনুযায়ী, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (পিবিটিএল)-এর অনুকূলে ইস্যুকৃত ২জি সেলুলার মোবাইল অপারেটর লাইসেন্স বাতিলের করা হলো।

গত বছরে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে (নির্ধারিত সময়) সরকারের বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের ২জি সেবার লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেওয়া সিটিসেলের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বিটিআরসি সিটিসেলের ২জি সেলুলার লাইসেন্স বাতিলের জন্য সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি৷

আরও পড়ুন: শিক্ষাসহ ৩ খাতে এডিবির সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

সিটিসেলের সংযোগ সেবা ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তরঙ্গ ও নবায়ন করা তরঙ্গের বরাদ্দও ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। শুধু ছিল ২জি লাইসেন্স, এবার বাতিল হলো সেটিও। সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ২১৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৫৯ টাকা। এখন সেই টাকা উদ্ধারের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে।

১৯৮৯ সালে সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের অনুকূলে মোবাইল অপারেটরের লাইসেন্স ইস্যু করে। পরবর্তী সময়ে এর নাম রাখা হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিতি পায়।


সর্বশেষ সংবাদ