১২ মার্চ ২০২৩, ১১:২৯

কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে চলতি সপ্তাহে

কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে চলতি সপ্তাহে  © সংগৃহীত

আগামী ১৫ থেকে ১৯ মার্চের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে। এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। এছাড়া কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ফেসবুকে জানিয়েছেন, ১৫ মার্চ থেকে ১৯ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত হতে পারে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সে দেশের পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা হয়ে এ কালবৈশাখী ১৬ মার্চ বাংলাদেশে প্রবেশ করার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের পরিধি হবে কুষ্টিয়া, চুয়াঙাঙ্গা, মেহেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত। ঢাকায়ও অগ্রসর হতে পারে। এ ছাড়া বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলা পর্যন্ত এ ঝড় বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোনো কোনো জেলায় ঝড় প্রচণ্ড গতিতে বইতে পারে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো গতিবিধি বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আজকালের মধ্যে ঝড়ের গতিবিধি বোঝা যাবে। তবে সার্বিকভাবে সংকেত দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

তবে কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকবে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। ওই সময়ে ঢাকা শহরের ওপর দিয়েও কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জেলায় ৩০ থেকে ৭০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন: সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্ভাব্য কালবৈশাখী ঝড়টি এই মৌসুমের প্রথম ঝড় হবে। তাই ঝড় থেকে বৃষ্টি অপেক্ষাকৃত কম হবে। তবে প্রচণ্ড রকমের ধূলিঝড় হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ১৭ ও ১৮ মার্চ। এ ছাড়া ১৫ মার্চের আগেই ২-১টি জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় চলতি সপ্তাহেই কালবৈশাখী আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা গণেশ কুমার দাশ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, দেশটির উত্তর প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত একটি গভীর অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। তাই বিহার, ছত্তিশগড়ের দিকে আবহাওয়াসংক্রান্ত কিছু গতিবিধি ধরা পড়ছে, যা ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেটি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের পর বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বুধবার থেকে কালবৈশাখীর আশঙ্কা তৈরি হবে। এ সময় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে।