০৯ মার্চ ২০২৩, ১২:১০

ভারী যন্ত্রপাতি ছাড়াই তৃতীয় দিনের উদ্ধারকাজ শুরু, এখনো একজন নিখোঁজ

ভারী যন্ত্রপাতি ছাড়াই তৃতীয় দিনের উদ্ধারকাজ শুরু  © সংগৃহীত

কোনো ভারী যন্ত্রপাতি ছাড়াই গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বুধবার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বেজমেন্টে উদ্ধার অভিযান চালাতে প্রয়োজন শোরিং (ঠেক দেওয়ার) নামের বিশেষ যন্ত্র না থাকায় উদ্ধার অভিযান শেষ করতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে আটটা থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছাড়াই ভবনের বেজমেন্টে জমে থাকা পানি অপসারণ শুরু করেছেন তারা। 

তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে দেখা গেছে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বালতিতে করে বেসমেন্টের পানি অপসারণ করছেন। ভবনের ভাঙা অংশও বালতিতে করে বের করছেন। তবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় তারা কোনো ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারছেন না, কংক্রিটের আবর্জনাও সরিয়ে বেজমেন্টেও নামতে পারছেন না।

ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের ভাইস প্রিন্সিপাল আনোয়ারুল হক বলেন, ভবনের নিচে প্রচুর পানি থাকায় সেগুলো সেচে তারপর উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। কোনো ভারী যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না। প্রতিটি ফ্লোর এবং স্থানে তন্ন তন্ন করে আমরা অভিযান করবো।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বেজমেন্টের দোকান বাংলাদেশ স্যানিটারি ম্যানেজার মেহেদী হাসান স্বপন এখনো নিখোঁজ।তার ভাই সোহাগ, শ্যালক নুরুন্নবী ও মামাশ্বশুর আবদুল মান্নান আজকেও ঘটনাস্থলে এসেছেন।

আরও পড়ুন: এডুকেশন ম্যানেজার নেবে কারিতাস, নিয়োগ কক্সবাজার।

ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের ভাইস প্রিন্সিপাল আনোয়ারুল হক বলেন, মেহেদী হাসান স্বপন নামে একজনের স্বজনদের দাবি, ভবনের নিচে তার মরদেহ রয়েছে। আমরা খোঁজ করছি।

স্বপনের চাচাতো ভাই ইত্তেহাদ লিংকন বলেন, আমরা ঢাকার সব হাসপাতালে, মর্গে খুঁজেছি কোথাও পাইনি। আমরা নিশ্চিত স্বপন এখানেই আছে। ঘটনার সময় উনি এই ভবনেই ছিলেন।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গুলিস্তানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশেরন (বিআরটিসি) বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেট নামে পরিচিত ৭ তলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের দুটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জন।