০৮ মার্চ ২০২৩, ২২:১৩

‘সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি নিয়ে প্রশ্ন’, বিষয়টি আসলে কী

সুলতান’স ডাইনের সমালোচিত কাচ্চি   © সংগৃহীত

জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানির মাংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কনক রহমান খান নামের একজন ভোক্তা। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন। যা পরে ভাইরাল হয়। ওই ভোক্তা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সুলতান’স ডাইন সম্পর্কে অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরের পর থেকে ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানির মাংস নিযে তুমুল হইচই পড়ে যায়। ওই স্ট্যাটাসে লেখেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি সুলতান’স ডাইন থেকে ৭টি কাচ্চি এনেছিলেন। খাবার সময় মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয় তার। মাটন (খাসির মাংস) বলা হলেও তিনি অভিযোগ করে লেখেন, মাটনের হাড় এমন চিকন হয় না‌।

তিনি ফেসবুকে লিখেন, পরে সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২-এর নম্বরে কল দেই। জিজ্ঞেস করি এটা কী মাংস ছিল? ওনারা দুজনসহ আবার খাবার পাঠান। সাথে ওনাদের এজিএম আশরাফ আসেন। নতুন খাবারের সাথে আগের প্যাকেটের খাবারের হাড়ের সাথে এবারের মাংসের তুলনা করতে বলি।

‘‘এজিএম আশরাফ মানতেই নারাজ, জেনেশুনে এমন মাংস দেন না। তারা বলেন, তাদেরকে যে ভেন্ডর মাংস দেয়, তারা আসলে কোনো কিছু করতে পারে। প্রশ্ন করা হলো, তাহলে ভেন্ডরের কাছ থেকে মাংস নেওয়ার সময় কি আপনাদের মতো এত বড় ব্র্যান্ডের কোনো কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার নেই?’’

আরও পড়ুন: মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে যেসব খাবার খাবেন

তিনি লিখেন, ‘‘আপনি কি দুটো মাংস সেইম দেখতে পাচ্ছেন? ওনারা উল্টা প্রশ্ন করেন, তাহলে আপনারা কী দিয়ে মেটাতে চান? ইন্ডিরেক্টলি টাকা অফার করেন এবং বলেন আপনারা ঝামেলা করলে আমরাও জানি কী করতে হয়। এরপর ৯৯৯-এ কল দেই। ৯৯৯ বলে বিএসটিআইয়ের নম্বরে অভিযোগ করতে।’’

আরও পড়ুন: ভ্রমণে যাত্রাপথে নিরাপদ খাবার

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে সুলতাইন’স ডাইন-২-এর শাখায় যোগাযোগ করা হয়। তাদের পেজের নম্বরে কল দেওয়া হলে অপর প্রান্ত থেকে একজন নারী কল রিসিভ করেন। তিনি বলেন, অভিযোগটি আমাদের নজরে এসেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্য এবং ভিত্তিহীন।’ ব্যবসায়ী প্রতিপক্ষরা ‘রিউমার’ ছড়াচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

অবশ্য সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন কিছু নয়। গেল বছরের ডিসেম্বরে ডালিয়া আফরোজ নামে একজন ভোক্তা তাদের রেস্টুরেন্ট থেকে কাচ্চি অর্ডার করে সেখানে মৃত তেলাপোকা পেয়েছেন। তার আগে ওই বছরের অক্টোবরে পচা-বাসি খাবার রাখার অপরাধে রাজধানীর মিরপুরের সুলতান’স ডাইনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এছাড়া ২০২২ সালের এপ্রিলে খাবারে প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় সুলতান’স ডাইনের মালিক ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ওই মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, বাদী হাসিবুল হক বেইলি রোডের সুলতান ডাইন থেকে ২০০০ টাকা মূল্যের কাচ্চি অর্ডার করেন।

কিন্তু, সেই কাচ্চি ডেলিভারির সময় বাদী দেখতে চান, ভেতরে কী পরিমাণ কাচ্চি আর মাংস দেওয়া হয়েছে। এ সময় বিবাদীরা ‘দেখার নিয়ম নেই’ বলে ডেলিভারি দিয়ে দেন। পরে বাদী সেই কাচ্চি বাসায় এনে দেখেন খাবারের মানে প্রতারণা হয়েছে। এই ঘটনায় বাদী সিএমএম আদালতে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা করেন।