০৮ মার্চ ২০২৩, ১২:৪০

জালিয়াতি করে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় মেয়রসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়  © সংগৃহীত

নিয়মনীতি ভঙ্গ করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে কুষ্টিয়ার কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ কমিটির সদস্যসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার আসামিরা হলেন- কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহা. আবুল কাশেম, কুমারখালী পৌর মেয়র ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি মো. সামসুজ্জামান অরুণ, বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি মো. আব্দুস সাত্তার। 

কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা হলেন, গণিত বিভাগের মো. খলিলুর রহমান, কম্পিউটার বিষয়ের আসমা বেগম মালা (৪৪), ব্যবসায় শিক্ষা শাখার এস এম আতি-বিন বাপ্পী (৩৪), সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের কুতুবুল আলম (৩৩), মনিরা পারভীন (৩৩), জীব বিজ্ঞান বিভাগের লুৎফুন নাহার লাবনী (৩৮), ভৌতবিজ্ঞান বিভাগের শেখ মো. সেলিম রেজা (২৮), আব্দুল্লাহ মোহাম্মদী (৩৬), ইসলাম শিক্ষা বিভাগের আমিরুল ইসলাম (৩৮) এবং সমাজ বিজ্ঞানের মো. শহিদুল ইসলাম (৪৮)। 

এ ছাড়া বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর সাদী আক্তার (২৬), নিম্নমান সহকারী বাসনা রানী কর্মকার (৪৪), আয়া মোছা. রুপালী খাতুন (৪৪), পরিচ্ছন্নতা কর্মী সনজিত কুমার বাঁশফোর (৩৬),  নৈশ প্রহরি মো. নাসিম হোসেন (৩৪), অফিস সহায়ক মো. আলমগীর হোসেন (৪১), নিরাপত্তা প্রহরী মো. আমিরুল ইসলাম (২৫), ল্যাব সহকারী মোছা. খাদিজাতুল কোবরা (৪১) এবং কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, সাবেক সভাপতি সামছুজ্জামান অরুন ও দুজন শিক্ষক প্রতিনিধি অপরাধমূলক অসদাচরণ করে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ভঙ্গ করে নিয়োগ দেয়। যার প্রেক্ষিতে দুদক খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম জানান, ৬ মাস আগে খুলনা থেকে টিম এসে তদন্ত করে গেছে। আর দুদক আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়েই মামলা করেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল জানান, ডিজির প্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে, ব্যাক ডেট দেখিয়ে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ১৮ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। তথ্য পাওয়ার পর খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার কুষ্টিয়া কোর্টে মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।