০৭ মার্চ ২০২৩, ২০:২৯

গুলিস্তানে বিস্ফোরণের পর ভবনে ফাটল, উদ্ধারকাজ সাময়িক বন্ধ

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে সাত তলা ভবনে ফাটল   © সংগৃহীত

রাজধানীর গুলিস্তানে সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিস্ফোরণের পর সাত তলা ওই ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রকৌশলীরা এসে পর্যবেক্ষণ করে জানানোর পর আবার উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অপারেশন) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী মাইকে এই ঘোষণা করেন। এর আগে বিকেলে ৪টা ৫০ মিনিটের ঘটা বিস্ফোরণস্থলে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ এবং শতাধিক আহত উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাকৃবির সাবেক ছাত্র জিলকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে

বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে আহতদের হালকা যান, পিক আপ, ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ঢামেকে নেওয়া হচ্ছে।  আহতদের জন্য স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের হাসপাতালে আসতে আহ্বান জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। আহতদের ঢামেকে আনার পর আহতদের আহাজারি ও স্বজনদের কান্নায় ভারী উঠে পরিবেশ।

এদিকে বিস্ফোরণের পর থেকেই ঘটনাস্থলে উৎসাহী জনতার ভিড়ের জন্য উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দিতে সন্ধ্যা থেকেই মাইকিং করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এছাড়া বিস্ফোরণস্থলের আশেপাশে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৭ দিনের মধ্যে অছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ

বিস্ফোরণস্থলের উদ্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট রওনা দিয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। এছাড়া, হতাহতদের উদ্ধারের জন্য এক্সকেবিউটর আনা হচ্ছে বলে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

সন্ধ্যায় বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে এখন অনেক লোক আটকে থাকতে পারে। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়া। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজের জন্য এসকেবিউটর চাচ্ছে। এসকেবিউটর রাস্তায় আছে, আসতেছে। এসকেবিউটর আসলে এই ধ্বংসস্তূপ সরানোর পর বুঝতে পারব ভিতরের কী অবস্থা। কোনো আহত অথবা নিহত বক্তি আছেন কিনা তাও জানা যাবে। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করা।