০৭ মার্চ ২০২৩, ১৯:৫৬

ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে লাশ, স্বজনদের আহাজারি-আর্তনাদে ভারি ঢামেক

ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে লাশ, স্বজনদের আহাজারি-আর্তনাদে ভারি ঢামেক  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৫ হয়েছে। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঢামেকে সরেজমিনে গিয়ে অস্থির পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। হতাহতদের স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারী হয়ে গেছে চারপাশ। চিকিৎসক-নার্স ও ঢামেক সংশ্লিষ্টরাও ব্যাপক ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছেন স্বজনরা হাসপাতালে তাদের খোঁজে ভিড় করছেন।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে আহতদের হালকা যান, পিক আপ, ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ঢামেকে নেওয়া হচ্ছে। আহতদের ভিড়ে অস্থির পরিবেশ বিরাজ করেছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে। আহতদের ঢামেকে আনার পর আহতদের আহাজারি ও স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। 

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ওসি বাচ্চু মিয়া জানান, সিদ্দিক বাজার এলাকা থেকে এখনো আহতরা আসছেন। হাসপাতালের পরিচালক সবার চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: এবার গুলিস্তানের ভবনে বিস্ফোর

আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানের বিআরটিসির বাস কাউন্টারের পাশে সাততলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ভবনের নিচতলায় স্যানিটারির দোকান ছিল। নিচতলায় বিস্ফোরণ ঘটে ওপরের কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে এখনো উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা। দেয়াল ভেঙে এসে পড়ে রাস্তায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শবর্তী ভবনগুলোও। ভেঙে পড়েছে অনেক ভবনের কাঁচ। বাসযাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত বিস্ফোরণের আশেপাশে থাকা সবাই হতাহত হয়েছেন। ঘটনার পর রিক্সা, ঠেলাগাড়ি, ট্রাক, গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ যে যেভাবে পারছে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিট ভবন থেকে অনেককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।