জাতীয় পাঠ্যক্রমের ব্যাপক পরিবর্তন দরকার: নওফেল
জাতীয় পাঠ্যক্রমের ব্যাপক পরিবর্তন দরকার জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সবার আগে আমাদের কাঠামোগত সমস্যা দূর করতে হবে। তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকে বৈষম্যমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে রাখা হয়েছে। লিঙ্গভিত্তিক স্টেরিও টাইপিং ও শক্তিশালী শিক্ষা ব্যবস্থার অভাবই আমাদের এগিয়ে যওয়ার ক্ষেত্রে মূল বাধা।
সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘একশন-এইড বাংলাদেশ’র আয়োজনে ‘উদ্ভাবনে নারী: জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, প্রযুক্তি ও সমাধানে’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
সমাজ পরিবর্তন না হলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত এমন বিষয়গুলোতে নারীর অংশগ্রহণ অনেক কঠিন হবে উল্লেখ করে সবার আগে আমাদের কাঠামোগত সমস্যা দূর করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার নারীদের উন্নয়নে কাজ করছে এবং শিক্ষায়ও তা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেড়েছে শিক্ষার পরিমাণ, কমেছে গুণগত মান
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন একশনএইড বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ, আইসিডিডিআরবির ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র পরিচালক ড. ফিরদৌসী কাদরী, একশনএইড বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটির এক্সিকিউটিভ বোর্ড সদস্য মিরাজ আহমেদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল।
দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে চার নারীকে তাঁদের অনবদ্য কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘নাসরীন স্মৃতি পদক-২০২৩’ পুরস্কার প্রদান করা হয় অনুষ্ঠানে। তাঁরা হলেন-পরিবেশবান্ধব কৃষিতে নারীর ভূমিকার জন্য মোসাম্মৎ গোলসানারা বেগম, জলবায়ু সুবিচার ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় নারী নেতৃত্বের জন্য হোমায়রা আহমেদ জেবা, প্রথাগত পেশা থেকে বেরিয়ে এসে ভিন্ন পেশায় নারীর অংশগ্রহণের জন্য পারভীন বেগম এবং যৌন হয়রানি, নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে বন্ধে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সানজিদা ইসলাম ছোঁয়া।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক অলাভজনক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘এ্যাকশন এইড’-১৯৭২ সালে এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে দারিদ্র্য-বিমোচন, শিশু-কল্যাণ, পরিবার-কল্যাণসহ নানা সামাজিক পরিবর্তনের লক্ষে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া বঞ্চনা-অবহেলা থেকে মুক্তি, দক্ষ জনগোষ্ঠী সৃষ্টি এবং আত্মপ্রত্যয়ী ও দায়িত্বশীল জনগোষ্ঠী গঠন করাও এর অন্যান্য উদ্দেশ্য। এসব নানা উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য দেশে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করছে সংস্থাটি।