বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের নাক ফাটালেন সহকারী শিক্ষক

আহত প্রধান শিক্ষক
আহত প্রধান শিক্ষক   © সংগৃহীত

বিদায় অনুষ্ঠানের মানপত্র আনতে দেরি হওয়ায় প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেন একই বিদ্যালয়ের বিদায়ী সহকারী শিক্ষক ও তার দুই ছেলে।  

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষককে দেওয়ার জন্য মানপত্র আনতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে নিয়ে উপজেলা সদরে যান প্রধান শিক্ষক। মানপত্রটি সংগ্রহ করে দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে পৌঁছান। দেরিতে মানপত্র আনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিদায়ী শিক্ষক জয়নুল আবেদীন প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজ ও মারধর শুরু করেন। এ সময় তার নির্দেশে তার দুই ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৬) ও মনিরুজ্জামান (৩২) এবং ভাতিজা লোহার রড, লাঠি নিয়ে তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা রক্তাক্ত অবস্থায় প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে উদ্ধার করে প্রথমে তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।  

আহত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রোববার দুপুরে শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। মানপত্র তাকে দিতে একটু দেরি হওয়ায় সে ও তার দুই ছেলে মিলে আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে। আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি।

জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন জানান, চোখের সামনে যা ঘটেছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। একজন প্রধান শিক্ষককে আরেকজন সহকারী শিক্ষক কীভাবে প্রকাশ্যে মারধর করতে পারেন?

অফিসে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাকে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগপত্র হাতে পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ