চাকরি সরকারি হচ্ছে আড়াই হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর
৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ৬৮৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি সরকারি হচ্ছে। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি ওঠার কথা রয়েছে। দীর্ঘ সাত বছর পর আবার চাকরি সরকারিকরণ হতে যাচ্ছে। প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে চাকরি সরকারি করা হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের।
জানা গেছে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৬৮০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এর মধ্যে ৬৭৮টির চাকরি আত্তীকরণের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। নতুন করে ৪৮টি কলেজ ও দুটি স্কুলের দুই হাজার ৬৮৮টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব বৈঠকে উঠছে। এসব পদ সৃষ্টিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগ সম্মত হয়েছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (সরকারি মাধ্যমিক-১ অধিশাখা) আব্দুল মতিন গণমাধ্যমকে বলেন, ১৫০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছয় হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি সরকারিকরণ হয়েছে। বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কাজ চলছে। মামলা জটিলতায় দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বিষয়টি স্থগিত আছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, সরকারি হওয়া স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি সরকারি হতে দেরি হচ্ছে। তবে যেদিন থেকে গেজেট হয়েছে সেদিন থেকেই সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিষয়টি মার্চের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৬৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডাটাবেইসও করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে সচিব কমিটির বৈঠক হয়।