মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে গবেষণায় ফেলোশিপ চালু করার নির্দেশ
ভাষা গবেষণা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে ফেলোশিপ চালু করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ‘মহান শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি এই ইনিস্টিটিউটের (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউট) একটা দায়িত্ব সারা বিশ্বের যত ভাষা আছে সেই ভাষাগুলোকে সংরক্ষণ করা; এর ওপর গবেষণা করা; ভাষার ইতিহাস জানা, সেটা আমার মনে হয় এটা করতে পারবেন।
ফেলোশিপ চালু করার নির্দেশনা দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমি মনে করি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউটে গবেষণার জন্য ফেলোশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা করার দরকার। তার জন্য যদি কিছু ফান্ড লাগে সেটাও আমি ব্যবস্থা করে দেব।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি সবসময় গবেষণায় বেশি জোর দেই। কারণ গবেষণা ছাড়া কোনো বিষয়ে উৎকর্ষতা সাধন করা যায় না।
অন্যান্য সব সেক্টরে গবেষণা জোরদারের ওপর গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা এটা খুব বেশি দরকার।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় সফলতা এবং গবেষণা বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ সুসান মারি ভাইজ।
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার ‘বহুভাষিক বিশ্বে বহুভাষিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা’র ওপর আলোকপাত করে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন’ শীর্ষক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এর আগে জাতীয় সঙ্গীত এবং অমর একুশের সঙ্গীত- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি,’ পরিবেশিত হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আলজেরিয়া, জাপান, চীন, রাশিয়া ও ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের শিশুরা প্রধানমন্ত্রীকে তাদের নিজস্ব মাতৃভাষায় শুভেচ্ছা জানায়।