‘ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেন’
‘ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেছিলেন। ভাষা আন্দোলন ও বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু অনবদ্য ভূমিকা রাখেন।’ ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা’ শীর্ষক ‘এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)‘ সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক বলেন, ‘১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী সচেতনভাবে বাঙালির কাছ থেকে ভাষার অধিকার হরণ করতে চেয়েছিল। তাদের সেই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন বাঙালির ত্রাণকর্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবি’র সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় অংশগ্রহণ ইতিহাসের অনন্য দৃষ্টান্ত। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেছিলেন।’
অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ‘১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়েছিল ‘রাষ্ট্রভাষা ২১ দফা ইশতেহার’ পুস্তিকাটি। এই ইশতেহার প্রণয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল অনস্বীকার্য এবং তিনি ছিলেন অন্যতম স্বাক্ষরদাতা।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘মূলত ভাষা আন্দোলনই বাঙালির স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ তৈরি করেছিল। ভাষা আন্দোলনে সফলতা বাংলার মাটিতে এমন এক সংগ্রামের বীজ বপন করে দেয়, যা পরবর্তীকালে স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ দেখায়।’
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ইআরডিএফবি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল অনন্য, অনবদ্য। বাংলা ভাষার প্রতি বঙ্গবন্ধুর প্রগাঢ় মমত্বের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা।’
সেমিনারে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবি’র সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক। প্রধান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচক ছিলেন প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।