১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:১৫

ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র, কার্যকর ১ মার্চ হতে

ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র  © সংগৃহীত

ট্রেনের টিকিটে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ, বিনা টিকিটে ভ্রমণকারীদের নিকট হতে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় সহজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে। যা আগামী ১ মার্চ হতে কার্যকর হবে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রেলভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট ক্রয়ে এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং পস ডিভাইস সংযোজন সংক্রান্ত এক সেমিনারের পর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

রেলমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্মানিত যাত্রী সাধারণের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে ও বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন এনেছে।

রেল সূত্র জানিয়েছে, কাউন্টার থেকে টিকিট পেতে নিবন্ধনের জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে না। মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে। অনলাইনে টিকিট কেনার সময় যাত্রীর এনআইডি যাচাই করা হবে। কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে আগাম নিবন্ধন করতে হবে। তারপর এনআইডি দেখিয়ে স্টেশন থেকে টিকিট পাওয়া যাবে। ট্রেনে ভ্রমণের সময়েও সঙ্গে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র রাখতে হবে।

ট্রেনে টিকিট চেকিংয়ে পরিবর্তন আসছে, যুক্ত হচ্ছে পয়েন্ট অব সেলস (পস) মেশিন। বিনা টিকিটের যাত্রীদের ট্রেনের ভেতরে তাৎক্ষনিক পস মেশিন টিকিট দেওয়া হবে। অনলাইনে ও নগদে টাকা পরিশোধ করা যাবে। এতে রাজস্ব বাড়বে বলে আশা করছে রেলওয়ে। টিকিট জাল কী না তাও ধরা পড়বে পস মেশিনে।

আরও পড়ুন: আগে ভর্তি নিয়েও প্রায় অর্ধেক আসন খালি থাকছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে

অনলাইনেই ফেরত দেওয়া যাবে টিকিট। নতুন পদ্ধতিতে, টিকিট ফেরত দিলে অনলাইনেই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা মা-বাবার এনআইডি দিয়ে টিকিট কিনতে পারবে। তবে যার এনআইডি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক প্রমাণে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি দেখাতে হবে।

আগেও একবার এনআইডি দেখিয়ে আন্তঃনগর ট্রেনে প্রথম শ্রেণির টিকিট কেনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তাতে বেশি সময় লাগায় স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ সারি তৈরি হয়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হয়েছিল।