একসঙ্গে মা-মেয়ের এইচএসসি জয়
উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে একসঙ্গে পাশ করেছেন মা ও মেয়ে। মা রাবিয়া আক্তার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৩.৮৯ পেয়েছেন। তাঁর মেয়ে ইসরাত জাহান খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৪.০০ পেয়ে পাস করেছেন। তাদের ফলাফলে খুশির জোয়ার বইছে ওই এলাকায়।
রাবিয়া আক্তার ইসলামপুর এলাকার মো. ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পাড়াকেন্দ্রে শিক্ষকতার পাশাপাশি টিউশনি করেন। রাবিয়া বলেনে, ইচ্ছে ছিল এইচএসসি পাশ করার। পাশ করেছি। খুবই ভালো লাগছে। যত দূর সম্ভব পড়াশোনা চালিয়ে যাব।
মেয়ে ইসরাত জাহান বলেন, আমি মায়ের পড়ার আগ্রহ থেকে অনুপ্রাণিত হই। আমরা একসঙ্গে পাশ করেছি। সবাই একসঙ্গে স্নাতকে ভর্তি হতে বলছেন। ইসরাতের বাবা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, স্ত্রী ও কন্যা একসঙ্গে পাশ করেছেন। এটা আমার জন্য গর্বের। তারা যাতে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারে সে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা গতবারের চেয়ে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ কম।
ফলাফলে দেখা গেছে, এবার মোট ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন, যা গতবারের চেয়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৪ জন কম। গত বছর পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ থাকলেও এ বছর তা ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। এবার ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯। ২০২১ সালের তুলনায় এ বছর জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ১২ হাজার ৮৮৭ জন।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বরিশালে ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯০ দশমিক ৭২ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, সিলেটে ৮১ দশমিক ৪০ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ ও যশোরে ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
ফলাফলে দেখা গেছে, ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন, রাজশাহীতে ২১ হাজার ৮৫৫ জন, কুমিল্লায় ১৪ হাজার ৯৯১ জন, যশোরে ১৮ হাজার ৭০৩ জন, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ৬৭০ জন, বরিশালে ৭ হাজার ৩৮৬ জন, সিলেটে ৪ হাজার ৮৭১ জন, দিনাজপুরে ১১ হাজার ৮৩০ জন ও ময়মনসিংহে ৫ হাজার ২৮ জন। আর মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৪২৩ জন ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পেয়েছেন ৭ হাজার ১০৪ জন।