পুলিশ সদস্যকে বিয়ের দাবিতে থানায় অনশনে তরুণী
বরগুনার তালতলী থানার আসাদুজ্জামান নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে বিয়ের দাবিতে থানায় অনশনে বসেছেন এক তরুণী। ওই তরুণী আসাদুজ্জামানের সাবেক স্ত্রী।
সোমবার রাত ৮টা থেকে তালতলী থানায় ওই নারী অনশনে বসেন। তার সাবেক স্বামী আসাদুজ্জামান তালতলী থানায় কর্মরত আছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালে বরগুনার বেতাগী থানায় কর্মরত থাকাকালে ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় আসাদের। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা বিয়ে করেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে পারিবারিক কলহের জেরে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পরও ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন আসাদ।
ওই তরুণী আবারও তার প্রেম প্রস্তাবে সাড়া দেন ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় শারীরিক মেলামেশা করেন। চলতি বছরের জানুয়ারির ২৩ তারিখে বিয়ের কথা বলে কুয়াকাটায় একটি হোটেলে তারা রাত্রিযাপন করেন। পরের দিন সকালে বিয়ে না করে হোটেল থেকে চলে আসেন। এরপর থেকে আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ওই তরুণী। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন আসাদুজ্জামান তালতলী থানায় কর্মরত আছেন।
অনশনে বসা ওই তরুণী বলেন, আমাকে প্রথম বিয়ের পর ডিভোর্স দেয় আসাদ। পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করে ফের সম্পর্ক তৈরি করে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক মেলামেশা করে। এখন আমি বিয়ের দাবিতে তালতলী থানায় আছি।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মো. আসাদ বলেন, আমাদের মধ্যে ঝামেলা ছিল। তবুও আমরা যোগাযোগ ঠিক রেখেছি। আমাদের মধ্যে আর কোনো ঝামেলা নেই। ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েই বিয়ে করব।
এ বিষয়ে তালতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, গতকাল রাতে বিয়ের দাবিতে থানায় এসে অনশন করেন এক তরুণী। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আসাদ বিয়ের জন্য রাজি হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।