তীব্র শীতে বগুড়ায় জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি
বগুড়ায় জমে উঠেছে ভাপা পিঠা বিক্রি। তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডার মাঝে ভ্যানে করে এই পিঠা বিক্রি করছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। শীতের শুরু থেকে এই ভাপা পিঠা বিক্রি শুরু হলেও শীতের প্রকোপ কিছুটা বেশি হওয়ার কারণে এই চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, শহরের সাত মাথায় বিগত বছরের দিনগুলোর চেয়ে এই বছর শীতের পিঠা বেঁচা-বিক্রি বেড়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর তীব্র শীতের কারণে সন্ধ্যার পরপরই শহরের প্রাণকেন্দ্র ও তার আশেপাশে এলাকায় অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে।
বাঙ্গালিয়ানার সাথে নবান্ন ও শীতকাল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদিও শীতকালে সে পিঠা ও পায়েসের আমেজ দিন-দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তবে ভাপা পিঠা ছাড়া শীতকাল কল্পনা করা অসম্ভব। বাড়িতে শীতকালে পিঠা তৈরির ধুম কমলেও ব্যবসায়িক ভাবে বেড়েছে এর উৎপাদন। মৈসুমী বিক্রেতার পাশাপাশি নারীরাও এই পেশায় যুক্ত হয়েছেন।
পিঠা ব্যবসায়ী বুলবুল ও তার সহযোগী হান্নান প্রতি পিছ ভাপা পিঠা পনের টাকা দরে বিক্রি করেন। দিনে ৩০০-৪০০ টি পিঠা বিক্রি করে তাঁদের দৈনিক মুনাফা থাকে ৮০০-১০০০ টাকা।
ব্যবসার অভিজ্ঞতার আলোকে তাঁরা জানান পূর্বে লাভ বেশি হতো কিন্তু বর্তমানে বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে আগের মতো আর লাভের দেখা মিলছে না। তবুও শীতকালীন এই ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ
এদিকে, সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ দাম বাড়ালেও পিঠার মান ও আকার কোনটাই বাড়েনি। কিন্তু বাড়িতে পিঠা তৈরির বাড়তি ঝামেলা এড়াতে তারা বাধ্য হয়েই পিঠা ক্রয় করছেন।
দাম ও মানের আলাপ-আলোচনা থাকলেও শীতকালে খেজুরের গুড়ের ভাপা ও অন্যান্য পিঠা আবহমান কাল ধরেই বাঙ্গালির শুধু রুচিই নয় বরং ঐতিহ্য।