০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৯

আপিল বিভাগে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন বহাল, বাধা নেই মুক্তিতে

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস  © ফাইল ছবি

পল্টন থানায় করা পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন জামিন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এর আগে ফখরুল-আব্বাসের জামিন বিচারিক আদালতে চার দফায় নামঞ্জুর হয়েছিল। ফলে তাদের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।

এর আগে বুধবার (৪ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল আবেদন করা হয় জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে। একই দিন বিকেলে আপিলের শুনানি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে হওয়ার পর শুনানির জন্য আজকের দিনটিকে নির্ধারণ করা হয়েছিল। একইসঙ্গে রবিবার পর্যন্ত মির্জা ফখরুল-আব্বাসের আইনজীবীরা তাদের মু্ক্তির জন্য বিচারিক আদালতে জামিননামা দাখিল করতে পারবেন না বলে আদেশে বলা হয়েছিল। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এই আদেশ দিয়েছিলেন।

আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

গতকাল মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন, কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয় বিকেলে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়ার দাবি করে পুলিশ। এতে মামলা করা হয় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না এ মামলার এজাহারে।

ডিবি পুলিশ ফখরুল ও আব্বাসকে গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে পরদিন ৯ ডিসেম্বর।