শেখ কামাল মেধাবীদের সংঘ তৈরি করা প্রথম শিক্ষার্থী: ঢাবি ভিসি
শেখ কামাল এবং সুলতানা কামালের স্মৃতিতে গঠিত ট্রাস্ট ফান্ডের উদ্দেশ্য শুধু বৃত্তি প্রদান করাই নয় বরং শেখ কামাল-সুলতানা কামালের জীবনের মূল্যবোধগুলোও তুলে ধরা। শেখ কামালই প্রথম শিক্ষার্থী, যিনি মেধাবীদের জন্য একটা সংঘ তৈরি করেছিলেন। সেখানে প্রত্যেক বিভাগের মেধাতালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করা শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাবির মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পক্ষ থেকে অধ্যাপক জিয়া রহমান কামাল ও সুলতানা কামালের পরিবারের পক্ষে শেখ কবির হোসেন ও গোলাম আহমেদ টিটো ও ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে ৪০ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন।
উপাচার্য বলেন, আমরা দুটো বিষয়কে বিবেচনায় রেখেছি। প্রথমটি হলো, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ভালো করা শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা প্রদান। দ্বিতীয়টি হলো, ভালো শিক্ষার্থীদের, মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই ফান্ড সুবিধা দেয়া।
অনুষ্ঠানে সুলতানা কামালের ছোট ভাই গোলাম আহমেদ টিটু বলেন, শেখ কামাল কৃতি খেলোয়াড় ছিলেন। আন্তঃস্কুল আন্তঃকলেজ খেলাধুলার কারণে স্কুল থেকেই সুলতানা কামালের সাথে শেখ কামালের সাথে পরিচয় ছিল। আমার বোন সুলতানা আহমেদ খুকিও একজন খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৬৮ থেকে পরবর্তী চার বছর তিনি খেলাধুলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।
শেখ পরিবারের জ্যৈষ্ঠ সদস্য ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, আমি মনে করি, আজকের এই মহতী উদ্যোগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ইতিহাসে। আমার মা মারা গেছেন জন্মের পরপরই। এজন্য আমি লালিত পালিত হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কাছে।
আরও পড়ুন: সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচন করুন: ওবায়দুল কাদের
শেখ কামাল সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি খুব হাসিখুশি মানুষ ছিলেন। বড়দের সম্মান, ছোটদের স্নেহ করতেন। আমাকে সবসময় চাচা বলে ডাকতেন। তিনি একটা গান গাইতেন, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা সবই করতেন তিনি। এতো বিনয়ী ছিলেন, তাঁর আগ দিয়ে কেউ কখনও সালাম দিতে পারতো না।
ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ কর্তৃক ট্রাস্ট ফান্ডের কাছে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান আর দশটা ট্রাস্ট ফান্ডের মতো নয়। আজকের এই চেক হস্তান্তরের সাথে জড়িয়ে আছে শেখ কামাল- সুলতানা কামালের নাম।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ কামাল দিল্লিতে যান। ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে বলেছিলেন, দিল্লিতে পড়াশোনা করতে। কিন্তু তিনি দ্বিমত জানিয়ে ফিরে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি আর্মি ছেড়ে শিক্ষাজীবনে ফিরে আসেন।
অধ্যাপক জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন মিহির লাল সাহা প্রমুখ।