পৌষের সকালে হঠাৎ বৃষ্টির দর্শন
সারাদেশে বইছে তীব্র শীত। এরমধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে দেখা মিলল হঠাৎ বৃষ্টির। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ২-৩ দিন এমন অবস্থা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ভোরের আগে থেকেই ঘণ কুয়াশায় মেঘের গর্জন শোনা যায়। উষ্ণতার চাদর মুড়িয়ে মানুষ যখন ঘুমে ব্যস্ত, তখনি নেমে এলো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
বাংলাদেশের একটি আর্দ্র, উষ্ণ জলবায়ু রয়েছে, যা প্রাক-বর্ষা, বর্ষা, বর্ষা-পরবর্তী এবং শীতকাল সঞ্চালন দ্বারা প্রভাবিত হয়। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জলবায়ুর গড় তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী সে. এর কাছাকাছি, তবে সারা বছর ১৫-৩৪ ডিগ্রী সে. এর মধ্যে থাকে। এই তথ্য অনুযায়ী যদি আমরা পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাই, বিগত বছর ঠিক এই সময়ে এত তীব্র শিত ছিল না।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের কলেজের ছুটির তালিকা প্রকাশ
তবে হঠাৎ এই বছর পৌষ মাসে বৃষ্টি! হঠাৎ বৃষ্টিতে নগরীর কর্মজীবী মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে, থমকে যাচ্ছে তাদের ব্যস্ততম জীবন। তবে বৃষ্টির শহরের ছিন্নমূল মানুষরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। ভূ-মধ্যসাগরীয় থেকে এই আর্দ্র বায়ু উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। শুরু হয় এই বৃষ্টিপাত। যার ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে বৃষ্টির পাশাপাশি শীতের তীব্রতাও বেশি থাকে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে স্বাভাবিক লঘুচাপ। এর বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এরই প্রভাবে দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। সেই সঙ্গে কমেছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
দেশে এই অবস্থায় বেড়ে যায় রোগ-বালাইয়ের পরিমাণ। ঠাণ্ডা জ্বর-কাশি লেগেই থাকে। তার মধ্যে রয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের তাণ্ডব। যার উপসর্গ অনেকটাই ঠাণ্ডা, জ্বর-কাশির মত। সকলের করণীয়, প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া বন্ধ করা, বের হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সাথে মাস্ক এবং গরম জামা-কাপড় নিয়ে বের হওয়া। এ সময় জ্বর, ঠাণ্ডা, গলা ব্যথার মত উপসর্গ অনুভব করলে জরুরী ভিত্তিতে নিজ নিজ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করা উচিত।