একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, একসঙ্গে প্রাণও গেল দুই বন্ধুর
ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছেন। প্রাথমিক, মাধ্যমিকের গণ্ডিও একসঙ্গে পেরিয়েছেন। বর্তমানে তারা একই প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছিলেন। তাদের মৃত্যুও হলো একসঙ্গেই। এখন তাদের দুইজনকে পাশাপাশি কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার কাদিরপুর খাদিজাতুল কোবরা মহিলা মাদ্রাসার সামনে মোটরসাইকেলের সঙ্গে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যান নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত দুই বন্ধুর নাম সাব্বির হোসেন (২১) ও আসলাম হোসেন (২১)। তারা কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সম্পর্কে তাঁরা দুজন মামাতো-ফুপাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে দুটি মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন সাব্বির ও আসলাম। মহিলা মাদ্রাসার সামনে পৌঁছানোর পর দুই মোটরসাইকেলের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি নসিমনের সংঘর্ষ হয়। এতে সাব্বির হোসেন ও রাসেল আহমেদ এবং আরোহী আসলাম হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে সাব্বির হোসেন মারা যান, এরপর মারা যান আসলাম হোসেন। গুরুতর আহত রাসেল হোসেনকে রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নিহত আসলামের খালাতো ভাই ফজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সাব্বির ও আসলাম আত্মীয় হলেও তাদের ভালো বন্ধু হিসেবে সবাই চিনতেন। তাঁদের বেড়ে ওঠা, চলাফেরা, পড়াশোনা একই সঙ্গে ও একই প্রতিষ্ঠানে। এভাবে দুজন একসঙ্গে চলে যাবেন, কেউ ভাবতে পারেননি তাঁরা।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, শনিবার রাত নসিমনের সাথে দুটি মোটরসাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তারা দুইজন সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো ভাই।