মেট্রোরেলের ভাড়া সর্বনিম্ন ১০ টাকা করার দাবি
আগামী ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম চালু হতে যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর প্রথম অংশ। এই মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কিলোমিটার ৫ টাকা; সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথম অংশের সর্বোচ্চ ভাড়া ৬০ টাকা।
এই ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৫০ ভাগ ভাড়া কমিয়ে সর্বনিম্ন ১০ টাকা ভাড়া করার দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নগরবিদ মোহাম্মদ এমদাদুল হক, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আবদুক হক, শরীফুজ্জামান শরীফ, তাওহিদুল হক, এম মনিরুল হক।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়া না কমালে সবাই এই সেবা থেকে বঞ্চিত হবে, এতে সরকারের উদ্দেশ্য সফল হবে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের এই প্রকল্পে ব্যয় ও ভাড়া দুটোই বেশি। এ জন্য জনগণের ওপর বাড়তি ভাড়া চাপানো ঠিক হবে না। সব দেশেই সরকার ভর্তুকি দিয়ে এ ধরনের গণপরিবহন পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, যাত্রীসাধারণের মতামত ও কোনো প্রকার পর্যবেক্ষণ ছাড়া ঢাকার সিটিবাসের দ্বিগুণ হারে মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। ঢাকা ও ভারতের কলকাতা শহরের আর্থ সামাজিক অবস্থা, মাথাপিছু আয় ও গড় জিডিপি আয় বিবেচনায় নিলে প্রায় সব সূচকে সমান অবস্থানে থাকলেও কলকাতার মেট্রোরেলের তুলনায় ঢাকার মেট্রোরেলে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া দ্বিগুণ। ভাড়া ৪ গুণ বাড়তি নির্ধারণ করায় যাত্রীস্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বেসরকারি লক্কড়-ঝক্কড় বাস কোম্পানিগুলো লাভবান হবে, সামর্থহীন যাত্রীসাধারণ মেট্রোরেল ব্যবহারের সক্ষমতা হারাবে। ফলে মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে।