‘কারাগারে অহেতুক দিন কাটছে বুশরার’, দ্রুত মুক্তি চান বাবা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৫৫ PM , আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৫৫ PM
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে নির্দোষ বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। এদিকে গ্রেপ্তারের ১ মাস হলেও তিনি এখনো কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। নির্দোশ প্রমাণের পরও বুশরা কারাগারে অহেতুক দিন পার করছেন উল্লেখ করে তার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম দ্রুত তার মুক্তি দাবি করেছেন।
গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রথমে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, হত্যা নয়, আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন। একই দিন সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন ফারদিন।
পুলিশ ও র্যাবের এমন তথ্য-উপাত্ত প্রকাশের পর হত্যা মামলায় আটক বুশরার দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। বুশরার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, আমার নির্দোষ মেয়েটা ফেঁসে গেল। ফারদিনের মৃত্যুতে আমার মেয়ের কোনো সংশ্নিষ্টতা নেই। অহেতুক তাকে দীর্ঘদিন কারাগারে কাটাতে হচ্ছে। তাই অতি দ্রুত আমার মেয়েটার মুক্তি চাই।
এ অবস্থায় বুশরার জামিন না হওয়া এবং তার পড়ালেখা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত তার পরিবার। বুশরার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম সম্প্রতি তাকে দেখতে কারাগারে গিয়েছিলেন। সে সময় বুশরা তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি নির্দোষ। জামিন পেতে দেরি হচ্ছে কেন?
আরও পড়ুন: বিতর্ক করতে গিয়ে ফারদিন ও বুশরার পরিচয় চার বছর আগে
মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, তিনি বুশরাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছেন যে আদালতে এখন ছুটি চলছে। শিগগিরই তাকে জামিনে জেল থেকে বের করা হবে। তিনি জানান, তাকে যত দ্রুত মুক্ত করা যাবে, তত দ্রুত তাকে স্বাভাবিক জীবনে আনা যাবে, আর তা হবে পরিবারের জন্য মঙ্গল।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ জানান, ফারদিন হত্যা মামলায় বান্ধবী বুশরার সংশ্লিষ্টতা নেই, তাকে বাদ দিয়ে দ্রুত মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে। তবে বাকিটা আদালতের সিদ্ধান্ত।
গত ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হন ফারদিন। পরদিন পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়। এর তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক বলেছিলেন, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর মাথা ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মারা যাওয়ার আগে তাঁকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়।