নিম্ন মাধ্যমিকে গুরুত্ব পাচ্ছে বিজ্ঞান ও ডিজিটাল প্রযুক্তি
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে তিনটি নতুন বই পাচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। বই তিনটির মধ্যে রয়েছে আনন্দ পাঠ (বাংলা দ্রুত পঠন), বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি এবং চারুপাঠ। শুধু তাই নয় প্রথম থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণির বই বদলে যাচ্ছে। এতে যুক্ত হচ্ছে নতুন প্রযুক্তিসহ নানা বিষয়। প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানুয়ারিতে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই পাবে।
জানা গেছে, নিম্ন মাধ্যমিকে বিজ্ঞান ও ডিজিটাল প্রযুক্তিতে গুরুত্ব পাচ্ছে। নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ১০টি অভিন্ন বই পড়ানো হবে। এরমধ্যে বিজ্ঞান ও ডিজিটাল প্রযুক্ত ছাড়াও থাকছে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, জীবন ও জীবিকা, সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা (ধর্ম অনুযায়ী) এবং শিল্প ও সংস্কৃতি। এখন ১৪টি বই পড়ানো হয়।
তবে প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আটটি বিষয় থাকবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি। সব বিষয়ের জন্য শিক্ষার্থীরা বই পাবে না। কিছু বই শিক্ষক গাইডের মাধ্যমে পড়ানো হবে। প্রাক্-প্রাথমিকে আলাদা বই থাকবে না। সবমিলিয়ে প্রথম থেকেই সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে ভালো ধারণা পাবে সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু এমনভাবে লেখা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীদের কাছে সহজ ও আনন্দময় হয়। আগে ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা বইয়ে তিনটি গান ছিল। এগুলো লিখিতভাবে দেওয়ার পাশাপাশি কিউআর কোডও দেওয়া হয়েছিল, যাতে স্ক্যান করে শুনতে পারে। তবে এখন কেবল ‘আমরা সবাই রাজা’ গানটি রাখা হয়েছে। কিউআর কোডও থাখছে না।
আরো পড়ুন: স্কুলের চেয়ে কলেজে আসন বেশি, ফাঁকা থাকবে প্রায় ৮ লাখ
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান বই লিখেছেন শিক্ষাবিদ ও জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী এবং ইউজিসি প্রফেসর হাসিনা খানসহ কয়েকজন। এতে বিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সহায়ক বই থাকবে। এতে সমস্যা সমাধানের ধাপগুলো বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান পড়ে আনন্দ পাবে। তথ্যপ্রযুক্তিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) মো. মশিউজ্জামান বলেন, শিখনপ্রক্রিয়ার পুরোনো ধরন বদলে যাচ্ছে। সেটি মাথায় রেখেই বইগুলো নতুন আঙ্গিকে তৈরি হচ্ছে। আগামী বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমের বই দেওয়া হবে। লেখার কাজ শেষে ছাপা হচ্ছে। যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম মাথায় নিয়ে বইগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে ও হচ্ছে। এতে ব্যবহারিক শিক্ষা গুরুত্ব পাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্য শ্রেণির বই প্রণয়ন হবে।